পোড়া মন
মধুপর্ণা বসু
শীতের কুয়াশা আস্তরণ সরাতে সরাতে কখন
এই জন্ম মুছে দিয়ে কিশোরীর পায়ের নূপুরের নিক্কনে
থমকে গেছি-
বারবার পেছন ফিরে তোমার তারুণ্যকে দেখার জন্য
সেই পুরনো দক্ষিণের বারান্দার পূব দিকের জানালার
খড়খড়ি তুলেছি,
কলেজ ফেরত ক্লান্ত ঘামে ভেজা ঋজু চেহারা, আর
সস্তার চারমিনারের কড়া গন্ধ বুকে জড়িয়ে
সলাজ চোখ সরিয়ে নিয়েছি,
মন ততোধিক কাতর অদেখার তাড়নায়;
লজ্জা তখন রাঙা ধুলোয় তোমার উপেক্ষা অবহেলা জড়িয়ে
গোলাপের কাঁটার মতো ভীষণ যন্ত্রণাময় রোমাঞ্চকর।
সে এক অন্য আবেশ, চোরা স্রোতে কেঁপে উঠল
না-দেখার প্রত্যেক অনু সময়-
অথচ দেখো; কখন যে সর্বনাশ লেখা ছিল
আমার ফাগুনের বারবেলায়,
বিস্মৃতির বর্মে ঢেকে দিয়েছে আস্ত একটা বসন্ত
আমার কাছে হৃদয় জুড়ে থাক সেই সর্বনাশ।
পোড় খাওয়া মনে জড়িয়ে থাক ঘামে ভেজা আসন্ন পৌরুষ
আর সারা শরীর জুড়ে কড়া নিকোটিন গন্ধ।