দীর্ঘ কবিতাঃ কুয়াশাবলয় : ছয় – সুধাংশুরঞ্জন সাহা

কুয়াশাবলয় : ছয়
সুধাংশুরঞ্জন সাহা

কাল্পনিক নয় সব, কিছু বাস্তবতা
মুখর হয়েছে আজ সমস্বরে কথা।
ভেসে আসা বাতাসের কতো ছলাকলা,
এলোমেলো করে দেয় স্বাভাবিক চলা।
চলাচল নিয়ে ছোটে নদীর মোহনা,
আনাচে কানাচে বাড়ে নানা আলোচনা।
জটিলতা মুছে দেয় একা এক নদী,
বারেবারে ধাক্কা খায় গতি তার যদি।
এই গতি ঘিরে আছে কত গৃহহারা,
তারাই সরব আজ আলোহীন যারা।
আহা টলমল মাটি ঘন অন্ধকার,
কারা আছে দূরে কাছে, মন ভার কার!
অন্ধকারে যারা জ্বালে বিন্দু বিন্দু আলো,
যে আলো নিভেছে তারে বারেবারে জ্বালো।
চোখের আলোয় দেখো কিছু মেঘমালা,
লেবুপাতায় জোনাকি,রোগা ডালপালা।
পাতিলেবু মায়াময়, গাছ কল্পতরু,
অতীত ঘেঁটেই দেখি ব্যর্থতার মরু।
ব্যর্থতা মানে হার না, আরো কিছু শিক্ষা,
অবশিষ্ট জীবনের সাদাকালো
বীক্ষা।

জানাজানি হয় সব অলিগলি পথে,
কিছু পথ উদাসীন বসতির মতে।
বসতির স্রোতে ভাসে অনাবিল দিন,
ধূ ধূ মনে দোলা লাগে আশা ছিল ক্ষীণ।
শিকড়বিহীন নয় গাছেদের ভাষা,
অনেকটা পথ বাকি মনে তবু আশা।
গাছের জগৎ ঘিরে আছে ভালোবাসা,
মানুষ দেখে কেবল পাখিদের বাসা।
নির্মাণের আছে এক মারাত্মক ঘোর,
গাছ নয়,পাখি নয় সাগরের তোড়।
এই তোড় ঘিরে থাকে সব অবরোধ,
নির্মাণ যখন পায় সৃষ্টির কদর।
রাতের কলঙ্ক মুছে ফুটে ওঠে ভোর,
কালের হাতেই থাকে সবটুকু জোর।
পৃথিবীর বাকি সব দ্বিধাহীন জল,
বিনিময়ে নেই কিছু, হাতে শুধু ছল।
আমার জীবন নাকি অরণ্যের মতো,
ভালোমন্দ শিল্পচর্চা বোধ ব্যক্তিগত।
ছেঁড়া ছেঁড়া মেঘ এসে মনে ঝাপটায়,
ধেয়ে আসে বর্ণমালা টলমল পা’য়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *