কবিতা
বিমান কুমার মৈত্র
১) আমি – ও – তিনি
কথাটি মনে হলেই যেন অবশ্যম্ভাবীভাবে
একটি মুখের দিকে নির্দিষ্ট হয়
আমাদের কম্পাসের কাঁটা
হাতের কাছে প্রয়োজনীয় উপকরণ থাকলে অনায়াসে গড়ে নেওয়া যায় কোনো
ছিপে তোলা ইচ্ছেমাছ অথবা
সেই করোতোয়া পাখিটিকে যার
হাই ভোল্টেজ প্রোটিন পালক
আমার বারান্দা-সকালের রোদকে
প্রায়শই শোকাহত করে তোলে
তখন ‘ও’ কেন ‘তুমি’
আর ‘আমি’ কেন ‘ও’
এসব জানার চেয়েও প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে আমরা কতটা আত্মবিলাসী আর কতটা আত্মবিনাশী তার সামনে গিয়ে দাঁড়ানো।
২) বসন্ত অধিকারী
কুপি না জ্বললেও শর্তসাপেক্ষে
তার নীচে ছায়া পড়ে
বড় ন্যাওটা এই ছায়াগুলো
অনেকটা ন্যাংটা শিশুর
কোমর-ঘুনসির ঘ্যানঘ্যানানি
আজ সকালে ট্রেনে
একটা লোক কাটা পড়েছে
সরেজমিনে পাঠাবার পর
কিছু প্রাসঙ্গিক ঔৎসুক্যের
ভিড়ে মরা লোকটারও
কোমর-ঘুনসির আওয়াজ তখন
কেউ কেউ শুনতে পাচ্ছিল
তবে যারা ওদের চেনে তাদের
মুখে শোনা যাচ্ছে উৎসুক
লোকেরা বসন্তের বাগানে
ফুল তুলতে ব্যস্ত।
ভালো লাগলো।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে