অচেনা ধূলোর ভূমিরূপ
কমলিকা দত্ত
সেইসব জুতোজোড়া , যাদের কখনো উত্তরসুরী থাকে না, কতদূর আর কোন্ দিকে তারা হেঁটেছে– জানে না কেউ; তাদের শরীরে ক্ষয় লেগেছিল — দেখেছি । শুকতলাগুলো কোন্ শিলাস্তর ভেদ করে মৃতপ্রায় , বোঝার আগেই ছেঁড়া অতীতের সৎকার করে এসেছি।
জুতোর সঙ্গে হারিয়ে গিয়েছে ধূলো।
সেইসব ধূলো রাস্তা এখন মাখে না।
কিশোর বয়সে কখনো কখনো খালি পায়ে ঘরে ফিরেছি। তখন এসব ভাবিনি– রাস্তা কখন বাঁকে? এই বাঁকেদের মনস্তত্ত্ব কোথায় লুকিয়ে আছে? কতবার? কত ধূলো কাঁধে বাড়ি ফিরে গেছে জুতো?
দেশলাই আর সিগারেটগুলো এক বাক্সতে আঁটে না,
যদিও এদের মুখাগ্নি করে সময় ওড়ায় ছাই …
এখনও যেমন, আমার জুতোয় তোমরা এগোতে পারো না।
অচেনা জুতোয় নিজেকে গলালে আমিও হোঁচট খাই।
পা খালি করে হাঁটবারও দিন শেষ —
ধূলোখেকো সব যন্ত্র এসেছে শহরে…