কবিতাঃ দুটি কবিতা – শ্রাবণী বসু

শ্রাবণী বসুর কবিতা


কী অন্বেষণ

শাখায় শাখায় জমা রাখা
অসমাপ্ত কথার পাণ্ডুলিপি-
একে একে খুলছে অশোক পলাশ।

আড়াল সরিয়ে দৃষ্টি বিনিময়ে
কতখানি নবীন আনন্দ-
কী করে বোঝাই বলো ?

রক্তিম পাতার ঘর বাড়ি
তপ্ত বাতাসে দুলে দুলে ফুলের
আবির মাখছে মনের সুখে।

বসন্তের গভীরে কী অন্বেষণে
এতো মুগ্ধতা কীকরে জানাই বলো?

ফাল্গুনী চাঁদের রাতে

অলীক সুখেতে জল,মাটিতে-
মিশছে মাঝিদের সারিগান।
অপার মুগ্ধতার দেশে-
ফাল্গুনী চাঁদ উঠেছে গোল।

মায়াময় মোমজোছনায়,
ঢেউ ভাঙছে তুঘলকী নদী।
ঋতুমতী মাটির ঘরে
ছুটছে প্রেমের তুফান,
ভ্রমর বুনছে সেই থেকে
রুপোলি আলোসুতোর নিচোল।

ফুলেরা বড্ড অভিমানী।
চুম্বনের গোপন চিহ্ন যতো,
লেগে আছে গাছেদের গায়।
বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসগুলি
খুলে দিলো মেঘেদের
বেসামাল অঙ্গবাস উতরোল!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *