প্রণয়
মধুপর্ণা বসু
যেন দূরান্তে স্বপ্নের সিঁড়ি পথে থমকে গেছি বিস্মিত–
ভিড়ের অববাহিকায় এক অপরিচিত পথিক,
কোনকালে দিনের ভগ্নাংশে এসে ধরেছিল হাত।
তারপর…
মেঘলা দিনে হঠাৎ অকাল বসন্তের বারবেলায়
আমার প্রাণ নিয়ে গেছে ক্ষুধার্ত বাসনা,
কোনদিনও তাকে ত্যাগ দেবার কথা ভাবিনি,
সেই থেকে অপেক্ষার চৌকাঠে একনিষ্ঠ মন রেখে দিয়েছি যুগ যুগ ধরে।
আলপথে পড়ে আছে নমনীয় অতৃপ্ত শরীর…
প্রণয়, এসেছিল তরুন মুখে দুহাত বাড়িয়ে, অপেক্ষার পলাশের ফুল পায়ের কাছে রেখে সে ফিরে চলে গেছে।
আমি ধূধূ প্রান্তরে প্রখর তাপে ঝরে যাওয়া অমলতাসের গালিচায়,
বুভুক্ষু চোখে দিকচক্রে চেয়ে আছি অপলক, তপস্যার কারণে হয়ে উঠেছি অর্ধনারীশ্বর।
এইভাবে আলোকবর্ষ হাঁটতে হাঁটতে সময়ের কাঁটারা মিলিত হয়েছে উত্তর প্রযুক্তি যুগে,
অন্য কোন অবয়বে নারী অথবা তরুণী মরালীর মতো আসি যদি তোমার ভাবনায়,
ছদ্মবেশে এই হাতে গোনা ফাল্গুনী সন্ধ্যায় অথবা লোহিতের অবিচ্ছিন্ন ধারায়…
তুমি কি আজও অক্লেশে সংশয়াতীত চিনে নেবে আমায়?