মুক্তগদ্যঃ শঙ্খ ঘোষের সান্নিধ্যমাধুরীতে – পুলিন রায় ( বাংলাদেশ)

শঙ্খ ঘোষের সান্নিধ্যমাধুরীতে
পুলিন রায়

‘এত বেশি কথা বলো কেন? চুপ করো
শব্দহীন হও
স্পর্শমূলে ঘিরে রাখো আদরের সম্পূর্ণ মর্মর

স্রোতের ভিতরে ঘূর্ণি, ঘূর্ণির ভিতরে স্তব্ধ
আয়ু
লেখো আয়ু লেখো আয়ু
চুপ করো, শব্দহীন হও’
(চুপ করো, শব্দহীন হও/শঙ্খ ঘোষ)

কিংবা

‘একলা হয়ে দাঁড়িয়ে আছি
… তোমার জন্যে গলির কোণে
ভাবি আমার মুখ দেখাব
মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে।

মুখের কথা একলা হয়ে
…. রইলো পড়ে গলির কোণে
ক্লান্ত আমার মুখোশ শুধু
ঝুলতে থাকে বিজ্ঞাপনে।’
(মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে/শঙ্খ ঘোষ)

কিংবা

‘নষ্ট হয়ে যায় প্রভু, নষ্ট হয়ে যায়।
ছিলো, নেই- মাত্র এই; ইটের পাঁজায়
আগুন জ্বালায় রাত্রে দারুণ জ্বালায়
আর সব ধ্যান ধান নষ্ট হয়ে যায়।…’
(ঝরে পড়ার শব্দ জানে তুমি আমার নষ্ট প্রভু/
শঙ্খ ঘোষ)

বাংলা কবিতার এক বরপুত্র কবি শঙ্খ ঘোষের উল্লেখিত সব কবিতায় নন্দনবোধের অতলে ভালো লাগার ঘোর লাগা আবহে থেকেছি দিনের পর দিন। প্রিয় কবিকে পাঠমুগ্ধতার মধুরিমা নিয়ে যেমন ছিলাম সেই সাড়ে তিন দশক আগে, আছি এখনো। তাঁর কবিতা পড়ে পড়ে যেমন এগিয়ে গেছি জীবনের পথে তেমনি আবিষ্কার করেছি ভালো লাগার নতুন নতুন দিগবলয়। তাঁর কবিতার তন্ময়তায় কেটেছে কত শত বেহিসাবি সময়। ছাত্র জীবন থেকেই শঙ্খ ঘোষের কবিতা আমাদের মন-মননে সৃষ্টি করেছে অন্যরকম দ্যোতনা। তাঁর গদ্য ঝড় তুলে হৃদয়গহীনে।
ত্রিশের অন্যতম প্রধান কবি জীবনানন্দ দাশের পরে কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়, কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, কবি বিনয় মজুমদার, কবি উৎপল কুমার বসু এবং কবি শঙ্খ ঘোষ বাংলা কবিতায় আলোর বিচ্ছ্যুরণ ছড়াতে থাকেন। এই পঞ্চকবি ত্রিশের পর বাংলা কবিতাকে নিয়ে গেছেন কাব্যকলার এক অন্যভুবনে-অন্যমাত্রায়-অন্য বাকে।
কবি শঙ্খ ঘোষ ‘কবিতা আমার কাছে অনেকটা প্রার্থনার মত’ ধরে নিয়ে কবিতাকে করে তুলেছেন নান্দনিক বোধের অতলান্তিক এক ভালো লাগার পরশ পাথর৷ তাঁর কবিতা বা গদ্য আমরা বুদ হয়ে কেবল পাঠই করি না পৌঁছে যাই শব্দের ব্যঞ্জনাতীত এক মোহনীয় জগতে।
উল্লেখিত পাঁচ কবি বাদেও বাংলা ভাষার আরো অনেক কবি কবিতার নতুন পথ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখলেন। আমরাও তাঁদের কাব্যসাগরে ডুব দিয়ে কুঁড়োতে লাগলাম কবিতার মণিমুক্তো। আমাদের ছাত্রজীবন থেকেই কবি শঙ্খ ঘোষ ছাড়াও কবি শামসুর রাহমান, কবি নির্মলেন্দু গুণ, কবি রফিক আজাদ, মহাদেব সাহা, মোহাম্মদ রফিক, জয় গোস্বামী, কবি দিলওয়ার প্রমুখের কবিতা আমাদেরকে প্রভূতভাবে উদ্বেলিত করা শুরু করে। হৃদয়ে জাগায় দ্যোতনা। কবিতার প্রভাববিস্তারি টানে আমরা কেবল বিমোহিতই হই। এবং হচ্ছি আজও। সাথে তো আছেনই কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কবি কাজী নজরুল ইসলাম এবং কবি জীবননান্দ দাশসহ অন্যান্য কবি-লেখক। জীবন চলার পাথেয়, মনের খোরাক নিয়েছি এবং নিচ্ছি তাঁদের সৃষ্টি থেকে।
প্রিয় কবি কবি বিনয় মজুমদার কিংবা কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় কিংবা উৎপল কুমার বসুর সান্নিধ্যে আমাদের যাওয়ার সুযোগ ঘটেনি। বলা যায় উপায়ও ছিলো না। তবে আমি পুরো একটি দিনের জন্য হলেও পরম সান্নিধ্য পেয়েছিলাম বাংলা সাহিত্যের এক দিকপাল কবি-ঔপন্যাসিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের। আমার সৌভাগ্য হয়েছিলো কবি শঙ্খ ঘোষের পরম সান্নিধ্যে যাওয়ার। কবি সেজুল হোসেন এর ভাষায় “বাংলা গদ্যের ঈশ্বর”-এর পদপাদ্মে বসে তাঁর স্নেহ সিক্ত আতিথেয়তায় হৃদ্যতাপূর্ণ কিছু সময় কাটাতে পেরেছি। এটা আমার এক পরম পাওয়া। আমার কাছে এ এক গৌরবেরও বটে।
২০১৮ এর ৪ আগস্ট বিকেলে কলকাতা দমদম পার্ক থেকে যখন কবিকে ফোন দিলাম এবং দেখা করার আগ্রহ ব্যক্ত করলাম তখন ওপ্রান্ত থেকে ধীর অথচ হৃদয় মথিত কণ্ঠে ভেসে এলো ‘…তিন দিনের মধ্যে হবে না যে…’। বিমর্ষ চিত্তে যখন বললাম, ”আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। একজন লিটল ম্যাগাজিন কর্মী। ‘ভাস্কর’ নামে একটি লিটল ম্যাগ সম্পাদনা করি।” একটু দম নিয়ে ওপ্রান্ত থেকে আস্তে আস্তে বললেন, ‘ওহ, তা হলে আজ রাত আটটার দিকে আসতে পারবেন?…’। আমি মনে মনে বললাম রাত আটটা কেন বললে রাত চারটায়ও আসতে পারবো। হ্যাঁ সূচক জবাব দিয়ে অধীর আগ্রহে সময় গুণতে থাকি। আমাকে পেয়ে বসে ভীষণ উত্তেজনা।
কবি শঙ্খ ঘোষের মতো কবির সাথে দেখা করতে পারবো এটা আমার কাছে রীতিমতো স্বপ্নের ব্যাপার। বিভিন্ন সময় কবির সাথে অনেকের দেখা হওয়ার সংবাদ বা ছবি দেখলেও দেখা করার বিষয়টি আমি সেভাবে কখনোই মনে আনিনি। ভারতের মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলে ইন্দো-বাংলা পয়েটস্ মিট-এ আমি গেস্ট অব অনার হিসাবে আমন্ত্রিত ছিলাম। এতে এওয়ার্ডি ছিলেন প্রিয় কবি এ কে শেরাম। মূলত শেরামদার কল্যাণে ঐ উৎসবে বাংলাদেশের চারজন — কবি এ কে শেরাম, কবি নিতাই সেন, লেখক হামিদ কায়সার ও আমি অংশগ্রহণ করি। আমার ছিলো ১৫ দিনের সরকারি ছুটি। ইম্ফলের উৎসব শেষে আমার তিন সাথী ফিরে চলে গেলেন দেশে। আমার হাতে ছুটি থাকলো আরো সাতদিন। তাই আগরতলা থেকে ২ আগস্ট/২০১৮ রাতে উড়াল দিয়ে সোজা কলকাতা। কলকাতা গিয়েই মনে এলো দেখি বাংলা সাহিত্যের বরেণ্য সাহিত্যিক শঙ্খ ঘোষের সাথে দেখা করে জীবনটাকে ধন্য করতে পারি কি না! যে-ই ভাবা সে-ই কাজ। বুকে সাহস নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ি।কলকাতার দমদম পার্কের বাসিন্দা কবি অমিতাভ চক্রবর্তীর সাথে আগে থেকেই ঘনিষ্ঠতা। আটাশ বছর পূর্তি সংখ্যা ভাস্কর-এ তাঁর লেখাও গেছে। অমিতাভ’দার বাসায় গিয়ে যোগাযোগ কবি শঙ্খ ঘোষের সাথে। যা হোক।
কখন বাজবে আটটা! সময় যেন যেতেই চায় না। এক সময় পৌঁছে যাই আরাধ্য কবির বাড়িতে। নিমিষে হাওয়া হয়ে যায় পথ এবং কবির হাউজিং কমপ্লেক্সের গেইটের ঝক্কি-ঝামেলার বিষয়গুলো। আমার স্বপ্ন পূরণ হলো। কলিং বেল টেপার পর মধ্যবয়েসী অতি সাধারণ অথচ আভিজাত্যে পূর্ণ এক ভদ্রমহিলা দরজা খোলে নম্রভাবে জিজ্ঞেস করলেন, “বাংলাদেশ থেকে এসেছেন?” উত্তেজনায় মাথা নেড়ে সম্মতি জানানোর পর “আসুন” বলে ভেতরে নিয়ে অতি সাধারণ মানের সোফা দেখিয়ে বললেন ‘বসুন। বাংলাদেশের কোথায় বাড়ি?” উত্তর শুনে নিরুত্তাপ ভঙিতে দেবীপ্রতিমার আবহ ছড়িয়ে ধীর পায়ে তিনি ভেতরে চলে গেলেন। আমি যেন উত্তেজনায় কাঁপছি। ‘কখন আসবেন কবি।’ ঘরের মধ্যে কেবল বই আর বই। সেলফ মনে হলো অনেক পুরোনো কিন্তু ঐতিহ্যের আধার। একসময় ধীর পায়ে ধবধবে সাদা পাঞ্জাবি আর ধুতি পরিহিত কবি এলেন। মনে হলো দেবতা দেখছি। তড়িৎ এক প্রকার হতবিহ্বল হয়ে পা ছুঁয়ে প্রণাম করে ধাতস্থ হওয়ার চেষ্টা করলাম। বিস্ময়াভিভূত আমি। আমার মুখে কথা ফুটছেই না। মনে হচ্ছিলো আমি স্বপ্ন দেখছি। বিশ্বাস করতে পারছিলাম না যে, সত্যিই আমি কবি শঙ্খ ঘোষের সামনে! মুখোমুখি বসে শুরু হলো টুকটাক আলাপ। বাংলাদেশের কোথায় থাকি, কবে কলকাতা এসেছি ইত্যাকার কথাবার্তায় মুহূর্তে যেন স্বজন হয়ে গেলাম। বাংলাদেশের চাঁদপুরে জন্ম এবং বাংলাদেশের ভ্রমণের বিষয়ে একটু করে স্মৃতিচারণ করলেন। আমার কবিতাবই ‘সুঘ্রাণ ছড়ানো মৌনতা’ এবং ‘ভাস্কর’ তাঁর হাতে দিয়ে অবাক বিস্ময়ে চেয়ে রইলাম। একে একে বই ও ভাস্কর উল্টেপাল্টে দেখতে লাগলেন এবং কাগজ ও ছাপার উচ্ছ্বসিত প্রসংশা করলেন। স্বল্পবাকে ‘ভাস্কর’ সম্পর্কে কিছু জানলেনও। কবে থেকে বের হচ্ছে, কয়টি সংখ্যা বের হয়েছে, কারা কারা লেখেন ইত্যাদি। আটাশ বছরে(১৯৯০-২০১৮ পর্যন্ত) বিশটি সংখ্যা বের হয়েছে জেনে আস্তে আস্তে মৃদুলয়ে বললেন, ‘তাহলে ভাস্কর লিটল ম্যাগ-ই। এই সময়ে আরো বেশি বের হলে এটা সংকলন হতো। লিটল ম্যাগ তো টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে যায়। সাহিত্যের এটাই আসল জায়গা…। ‘ আমি তন্ময় হয়ে কবির কথা শুনছিলাম। মাঝেমধ্যে কথায় সুযোগমতো অংশও নিচ্ছিলাম। এর মাঝে এক সময় ট্রে-তে চা বিস্কুট মিষ্টি সমেত আবার আসলেন দরজা খুলে দেওয়া সেই লক্ষীপ্রতিমা। বুঝলাম উনিই কবির দেবী, প্রতিমা ঘোষ। হায়! এই দেবীও চলে গেছেন কোভিড-১৯ এর ছোবলে। শ্রদ্ধা জানাই।
হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশে চা বিস্কুট মিষ্টি খেতে খেতে তাঁর কবিতার মুখস্থ প্রিয় কিছু পঙক্তি আওড়ালাম। ‘মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে’ ‘বাবরের প্রার্থনা’ ‘গান্ধর্বের কবিতাগুচ্ছ’ ‘ছন্দের বারান্দা’সহ তাঁর কবিতা ও গদ্যের কথা বললাম। লক্ষ্য করলাম শিশুসুলভ আনন্দজ্যোতি গড়িয়ে পড়ছে যেন কবির চোখে মুখে। একটা পবিত্র অনুভূতি কাজ করলো আমার মন-মননে। একটা অতিলৌকিক ঘোরের মধ্য দিয়ে কীভাবে চলে গেল প্রায় ঘন্টা দেড়েক সময়, টেরও পেলাম না। ভাস্কর-এ প্রকাশের জন্য কবির একটি আশীর্বাণী প্রার্থনা করলাম। লিখতে কষ্ট হয় বলেও ধীরলয়ে মিনিট পনের সময় নিয়ে একটি আশীর্বাণী লিখে দিলেন। ‘ভাস্কর’ নিয়ে তাঁর মূল্যায়ণধর্মী অসাধারণ এই লেখা আমার জন্য আশীর্বাদ হয়ে থাকবে অনন্তকাল। তাঁর এই পরম সান্নিধ্যের বিষয়টি বর্ণনা করা আমার পক্ষে অসাধ্য। সেটা শুধুই আবেগের, অনুভবের।

বাংলাদেশের চাঁদপুরে জন্ম গ্রহণ করা চিত্তপ্রিয় ঘোষ কলকাতায় চলে যান কিশোরকালে। সেখানে গিয়ে হলেন কবি শঙ্খ ঘোষ। অনেক আগে বাংলাদেশ ছেড়ে গেলেও তাঁর মন-মনন এবং লেখায় বরাবরই নানাভাবে চলে আসে বাংলাদেশ। বরিশালের বানারি পাড়া, সন্ধ্যা নদী, পদ্মাপার, পাকশি, হার্ডিংঞ্জ ব্রিজ এর স্মৃতি কবিমনে সমুজ্জ্বল ছিলো সব সময়। যার প্রতিফলন ঘটেছে তাঁর লেখায়। বাংলাদেশের প্রকৃতি আর পরিবেশেই কেটেছে কবির শিশু-কৈশোরকাল। কলকাতায় গিয়ে কবি প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হন। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এরপর বিভিন্ন কলেজে শিক্ষকতা শেষে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী হন। কবি শঙ্খ ঘোষের বাবার নাম মণীন্দ্র ঘোষ। তিনি ছিলেন বাংলা ভাষার পণ্ডিত, শিক্ষক। বাবার মতোই শঙ্খ ঘোষও শিক্ষক পেশা বেছে নেন।
বাংলা ভাষায় রবীন্দ্র-জীবনানন্দ দাশের যোগ্য উত্তরসূরি কবি শঙ্খ ঘোষ তাঁর এক লেখায় বলেন, “দেশভাগ আর উদ্বাস্তু হবার জীবন নিয়ে একটি কবিতা লিখেছিলাম ‘ভিখিরির আবার পছন্দ’। আসলে সে ভাবে পরিকল্পনা করে লেখক হওয়া যায় না, কবি তো নয়ই। আমার মনে হয়েছিল মনের মধ্যে অনেক কথা জমে আছে, সেগুলোকে আমি বের করতে চাই, তখন সম্ভবত প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়ি। প্রচুর বই পড়তাম সে সময়ে। রবীন্দ্রনাথ জীবননান্দ পছন্দ করতাম। তখন কীভাবে যেন লেখা শুরু করে দিলাম, যদিও আগে থেকেই টুকটাক লিখতাম। জীবিকার জন্য অধ্যাপনা করি বটে কিন্তু লেখা ছাড়া আমি আর কিছু তো করতে পারি না, সম্ভবত সে জন্য লিখি। লেখা আমার কাছে অনেকটা প্রার্থনার মত। লেখার মধ্যে দিয়ে আমি নিজেকে সমর্পণ করি’’।
হ্যা, কবির মতোই লেখাকে প্রার্থনার মতোই নিতে হবে। অন্যথায় সবই অসার হতে বাধ্য।
বাংলা সাহিত্যের প্রখ্যাত সাহিত্যিক, বিশিষ্ট রবীন্দ্র গবেষক আমার প্রিয়তর কবি শঙ্খ ঘোষ ২১ এপ্রিল/২০২১ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় কলকাতার নিজের বাড়িতে ৮৯ বছর বয়সে তিনি পরলোকগমন করেন। হায়, কোভিড-১৯ শঙ্খ ঘোষের মতো একজন কবিকেও বাদ দিলো না।
কবির মৃত্যু নেই। তিনি বেঁচে থাকবেন তাঁর সৃষ্টির মাধ্যমে, কবিতা-গদ্যে।
কবির ধীরস্থির দেবতুল্য চেহারা, মুখচ্ছবিটি চোখের সামনে কেবল ভাসছেই, ভাসতে থাকবে আজীবন।
স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।

2 thoughts on “মুক্তগদ্যঃ শঙ্খ ঘোষের সান্নিধ্যমাধুরীতে – পুলিন রায় ( বাংলাদেশ)

Leave a Reply to krittika Bhaumik Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *