সংক্রান্তি
মলয় চৌধুরী
যেতে দিতে চাই কি সময় তোকে
অজস্র আকাশ আর ঝরা রৌদ্রের?
চাঁদের মুখ ঢাকে উটকো মেঘে
আজ তবু শেষ দিন চৈত্রের ।
দুঃখ আমাকে ঘিরে
সাজাতে চেয়েছে তার ঘর – গেরস্থালি,
প্রত্যাখ্যান করেছি তাকে ;
বুকের গভীরে আনন্দ আমার
তার সাথে করেছি মিতালি ।
অযুত বসন্ত বুকে হিমেল হাওয়া
দেবদারু বন থেকে নিয়েছে ছুটি,
পরিচিত ছায়ামুখ অদৃশ্য হঠাৎ
ভঙ্গুর আবেগ যেন নিঃশব্দ ভ্রূকুটি ।
হিসেব মেলেনি কোন জমাখরচের
আজ তবু শেষ দিন চৈত্রের ।
হাল ছেড়ে দেওয়া পথে একলা হেঁটেছি,
বসন্ত ডেকে গেছে
রক্ত রঙ পলাশের পাপড়ি তুলেছি।
দরজার একপাশে মাধবীলতার ফুল
ঘরোয়া বাতাসকে করেছে আকুল;
জীবনের ওঠা পড়া সাজিয়ে রেখেছি।
অনেক বাষ্প জমে বিবাগী প্রাণের
আজ তবু শেষ দিন চৈত্রের ।
হারিয়ে ফেলেছি চেনা ঘরের ঠিকানা ,
নিরাশ্রয় আকাঙ্ক্ষারা
আমার চারণভূমি আমি চিনি না।
বাগানেতো বারোমাস রঙিন পাতারা বেড়ে ওঠে,
ঋতুময় গাছপালা –
মরসুমি ফুলগুলো ফোটে ।
তাপিত প্রহর কাটে দগ্ধ সময়ের
আজ তবু শেষ দিন চৈত্রের ।।
অসাধারণ একটি কবিতা পড়লাম। অভিনন্দন কবিকে।
অপরিসীম সৌন্দর্যভরপুর কবিতা। কবিকে যাঁরা বা যিনি আবিষ্কার করেছেন কৃতজ্ঞ হয়ে জানাই অভিনন্দন। অভিনন্দন কবি মলয় চৌধুরীর জন্য। আরও লিখুন। আরও আরও।
অপূর্ব। দারুন লেখা পড়লাম।