কবিতাঃ অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের কবিতা

অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের কবিতা ( তিন # টুকরো # দৃশ্য )

যে শৈশব হত্যাদৃশ্য লুঠপাট ধর্ষিতার দেহ
বারবার আমাকে দেখিয়েছে বর্ষা ভেজা কাদা মাঠ
কুৎসিত ভাবে হেসে উঠেছে তাকিয়ে আমার দিকে
একক মূকাভিনয় কিংবা নেচে ওঠা অঙ্গভঙ্গি
পাথরের নীরবতা ঘেরা এক সুদীর্ঘ অন্ধকার
লোহার পাতে মোড়ানো বুট বুলড্রজার চালিয়ে
হত্যা করলো সোনালি ক্ষেত, হাসি ভরা তৃণভূমি
নেচে ওঠা ফুলের বাগান বিদ্যমান আজও মনে
#
বিভিন্ন বয়সের মহিলারা তাদের আসার অপেক্ষায় আছে যাঁরা তাদের নিয়ে যাবে। অপেক্ষা
করার সময়, তারা অনেক দিন ধরে নিজেদের বিধবা ভাবতে থাকে আর চোখের এমন দৃষ্টি যেন
তারা পাথরের সাথে কথা বলে। পাইন বনের থেকে দূরে, মরূদ্যানের থেকে দূরে, সমুদ্রের
থেকে দূরে, জলপ্রপাতের কাছাকাছি যেখানে তারা তাদের শিশুদের সাঁতার শিখিয়েছিলেন,
ভালভাবে, স্রোতের প্রতিকূলে। তাদের পুরো জীবন, চাষের মাঠের আলপথে, দিল্লীর
শাহিনবাগে, সমগ্র পৃথিবীর ক্ষেত-খামারে মুষ্টিবদ্ধ হাত তুলে প্রানের গান গাইতে শুনেছি।
এবার ফিরে যাও, সব সম্ভাব্য সম্ভাব্যতা কে নিয়ে ফিরে যাও। যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে
মূল আকৃতিকে প্রত্যাবর্তন করো। ভ্রূণ যা মাতৃগর্ভের গর্ভ, এই দিগন্তের প্রশ্নবিদ্ধ
লাইনের উপর যা নির্ভর করে, যা প্রাচীন গাছের শাখাগুলির অভ্যন্তরে পৌঁছে যায়। আশ্রয়
নেয় রূপকের শরীরে – একটা সুদীর্ঘ আলোকহীন স্যাঁতস্যাঁতে
#
অন্ধকার এখন, ট্র্যাফিক লাইট সুস্পষ্ট অতি
অন্ধকার শহর যেখানে প্রতিটি মানুষ স্তব্ধ
ফুটপাথ ধরে ভেড়া ধীরে হাঁটতে থাকে সঙ্গে রাত
ফেব্রুয়ারি , চাঁদের আলোয় পুড়ে ছাই হয়ে যায়
দিনগুলো অন্ধকার সমুদ্রের উপর বিছিয়ে
বায়ু অতি দ্রুতগামী আন্দোলনের নিশান ওড়ে
অন্ধকার এখন, ট্র্যাফিক লাইট সুস্পষ্ট লাল
রক্তাক্ত বিপ্লবের দেহ রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে

3 thoughts on “কবিতাঃ অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের কবিতা

Leave a Reply to অনন্যা মিত্র Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *