পাথরের চোখেরা
অনিরুদ্ধ সুব্রত

মুখোমুখি যেন ধ্বংস সভ্যতার প্রাসাদ শহরের ভগ্ন ভাস্কর্য
ইতিহাসের প্রামাণ্য শুধু, সংবেদ-হীন, ভঙ্গুর , নিস্পৃহতায় মগ্ন
মুখোমুখি মুখেরা প্রাচীন পাথরের ভোঁতা মানুষের মতো নিঃশব্দ
বর্তমানের আবিষ্কারে অচেনা ধ্বস্ত গোম্বুজের সারি সারি কাহিনী ।
এতো চুপচাপ অনন্ত কালের দেয়ালের মতো তারা মুখোমুখি অচেনা
অথবা চেনা মাত্র ভেঙে গুড়িয়ে ধুলোয় মিশে যাবে বলে নিরুচ্চার তারা
সময় ঘুরে ঘুরে দেখছে পাষাণের পাহারা, পরস্পরের দিকে তাকানো
কতকাল কত সহস্রাব্দ ধরে ছিল চাপা পড়ে অনাবিষ্কৃত উপেক্ষায় ।
আজ সুড়ঙ্গ পথে যখন আলো এসে পড়েছে অতীতের বুকের উপর
তখনও ঠিক কী চিৎকারে ভাঙবে এই মহিমান্বিত পাথর, এই স্তব্ধ মুখ
প্রাচীনত্ব যে কেবল অথর্বতাই দিয়েছে, সময়ের তাতেই অহংকার
বিশ্বাসের প্রথাগত গবেষণায় এই সব মুখোমুখি পাথরের মুখ চির চুপ ।
শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে দখলের নির্মাণে ছেনি আর হাতুড়িতে
হয়ে উঠতে হয়েছে শান্ত সুন্দর কালের দিকে দিকে মুখ তুলে ধরে
জপ মালার মন্ত্রে মন্ত্রে পাহাড়ের শরীর কেটে কেটে মানুষের ইচ্ছায়
হাজার বছর পরে আজকের আবিষ্কারে যদি মুখোমুখি ভাস্কর্যদের আশ্চর্য
দেখা হয় , ভগ্নপ্রায় অস্তিত্বের খণ্ড মূর্তিদের, নিঃশব্দের আবহ সঙ্গীতে
নড়েচড়ে ওঠে কি আর অধর ওষ্ঠ, পাথরের চোখেরা শুধু মুখোমুখি তাকায় ।
বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ কবি।
খুব ভাল লাগল।