তিনটি কবিতাঃ অনিরুদ্ধ সুব্রত

প্রাণের শহর
কিছু জার্নি কেবল মনে থাকে, দু’একটা উষ্ণ হাত
এখানে হাঁটতে হয় বিপজ্জনক রাস্তা দিয়েই
ছোটো দোকানের কেনা বেচায় ভরে থাকে ফুটপাত ।
দুই পানকৌড়ি
দুপুরে পোহায় রোদ, দুটি পানকৌড়ি,
ঝড়ে টেনে এনে ফেলা ভাঙা গাছ ডালে
প্রাচীন জলাশয়ে,শীতের সূর্য মোহে
ভিজে জীবনের মাঝখানে দুদণ্ড শুকোতে।
কত যে কাল, সকাল কেটেছে জলে জলে
ডুবে ডুবে ছোটো মাছ আর শামুকের খোঁজে
জলা ঘাস কাদা,শত বাঁধা, তার ফাঁকে ফাঁকে
ভিজেই থেকেছে হৃদয়,শীত শীত শরীরজ বাঁকে
পোহাবার দুপুর এসেছে যেন,ডানাদের ওম দিতে।
অন্ধকারের চাকরি বাকরি
শরীরের নাকি ঘুমোনো দরকার, হেড অফিস মানে না
চাইলেই প্রতি রাতে ছুটি তাকে দেয় না,
চোখেরা এমনই চোখ নিস্পলক, বলে পৃথিবীতে রাত হোক
মনেরও পুরনো রোগ, নেই তার জাগরণে অভিযোগ
বুকে যে কথার নদী, হাতে যে লেখার কঠিন অসুখ
বোধ কেবল ফাঁকি দিতে জানে না, তাই
হেড অফিস চাকরিটা রাখে তার, সংকটেও ছাঁটে না।
Tinti kobitai valo laglo
ভাল লাগল ।
Liked it. Always learn something new.
তিনটি কবিতা তিনটি আলাদা রসের । তবুও কেন যেন মনে হল একটাই রস চুঁঁইয়ে পড়ছে তিন ধারায়। কবিকে ধন্যবাদ।
খুব ভালো লাগলো তিনটি কবিতাই।