সম্পাদকীয়ঃ মন্দিরা গাঙ্গুলী

এ সপ্তাহের সম্পাদকীয়

অবেক্ষণ পত্রিকার পক্ষ থেকে পত্রিকার সমস্ত লেখক, কবি, শিল্পী এবং পাঠককে বড়দিন এবং আগামী ইংরেজী বছরের অনেক শুভকামনা জানাই। ২০২০ সাল বড়ই মন্দ কেটেছে সবারই, তবু অবেক্ষণ পত্রিকার অনলাইন যাত্রা এই ২০২০ তেই, তাই স্মরণীয় হয়ে থাকবে। মারণ ভাইরাস আমাদের অনেক স্বজনকে কেড়ে নিয়েছে। অবেক্ষণ পত্রিকা হারিয়েছে, পত্রিকার বড় আপন একজন অভিভাবক, বন্ধু কবি পার্থ বসুকে। প্রত্যেক সংখ্যা প্রকাশের সময় মনে হয়, এই মনে হয় মেইল বাক্সে লেখা আসবে সেই মেইল বাক্স থেকে। আসেনা। সেই শূন্যতা থেকে যায়, থেকে যাবে। তবু, পৃথিবীতে থেমে থাকার কোন নিয়ম নেই, ছন্দ পতনের কোন অবকাশ নেই। সব কিছুই চলে আপন গতিতে। তাঁর শুভেচ্ছা, আশীর্বাদ সঙ্গে নিয়ে পত্রিকাও তার পথ চলছে সফলতার সঙ্গে। পত্রিকায় যুক্ত হয়ে চলেছেন গুণী কবি, লেখক, শিল্পীরা।
আজ প্রকাশিত হল ২০২০ সালের শেষ সংখ্যা, ডিসেম্বর চতুর্থ সংখ্যা অথবা বড়দিন সংখ্যা। যাঁরা লিখেছেন অথবা এঁকেছেন, প্রত্যেকের অসাধারণ সৃষ্টিতে ভরে উঠেছে পত্রিকার পাতা। গত সংখ্যাগুলোতে যেমন ভাবে সাহিত্যপ্রেমী পাঠক অবেক্ষণ পত্রিকাকে আপন করে নিয়েছিলেন আগামীতেও একই ভাবে সঙ্গে থাকবেন বলেই প্রত্যাশা রইল। এই সংখ্যায় আছে বড়দিন ঘিরে থাকা সাম্প্রতিক, জয়দেব কেন্দুলি মেলা নিয়ে লেখা মুক্তগদ্য, শিল্পীর হাতে আঁকা ছবির সাথে নিজের লেখা অনুগল্প, আরও দুজন শিল্পীর চিত্রাঙ্কন, স্প্যানিশ কবিতার সার্থক বাংলা অনুবাদ, একটি ছোটগল্প, ১৫ জন কবির লেখা অসাধারণ সব কবিতা এবং পাঠকের মন্তব্য। আমি নিশ্চিত সবার ভালো লাগবে পত্রিকার এই সংখ্যা।
আগামী সংখ্যা প্রকাশিত হবে ২০২১ সালের দ্বিতীয় শনিবার। হ্যাঁ, এখন থেকে অবেক্ষণ পত্রিকা ‘পাক্ষিক পত্রিকা’। প্রতি সপ্তাহের পরিবর্তে এক সপ্তাহ অন্তর প্রকাশিত হবে পত্রিকা। আপনি কবি অথবা লেখক হলে আপনার জন্য আমন্ত্রণ রইল। সমস্ত বিভাগের জন্য লেখা পাঠান ইমেইল করে। অবেক্ষণ পত্রিকা নিজে পড়ুন, অন্যকেও পড়ান। ভালোবেসে লিখুন ভালোবেসে পড়ুন। ভালো থাকুন সকলে। নমস্কার।