ফিরিয়ে দিচ্ছি
ইন্দ্রাণী দত্ত পান্না

শব্দের জালে বন্দী সকাল…
শুকনো বাঁশের গায়ে কত পোকা থাকে?
কাঠ ঠোকরার ঠোঁটে ধ্বনি ওঠে
টররররর টরররর টরররর… অনন্ত
মাটিতে তখন খুরপির ঘায়ে ভেঙে যাচ্ছে প্রাগৈতিহাসিক গীত বাদ্য
কে সুন্দর কে অনুপম কান্তি আর কেই বা নয়নাভিরাম জানতে চায় করবীর শাখা,
প্রাচীন চাকা আর আধুনিক উড়ান মেজাজ
পরিত্যাগ করেছে আমার সন্দেহাতীত রুমাল গুলোকে।
আমি যা যা মুছে ফেলতে চেয়েছি আঙুলের চাপে
সব দেখতে পাচ্ছি ঘ্যান ঘ্যানে বৃত্তাকার তৈজসে।
আমার কি পাপ বাড়ছে প্রভু?
পিঠের ওপর বাড়ছে পাথর বেদনা,
সরল করবী তবে বিশ্বাস করবে না সব উত্তর আর সাজেশান সম্বলিত বিশ্রামকে!
ঘন ঘন দল আর শেল্টার বদলানো ফড়িংদের নিয়ে
যা মুসিবত হবার তাই হচ্ছে বলেতো থেমে যেতে পারেনা
পরিশ্রমী পিঁপড়ের অভিজ্ঞ কার্যকলাপ।
জলপাই রঙের ভেজা সকাল থেকে কুয়াশা ঝেড়ে ফেলতে বেলা যায়
যার গন্তব্য স্থির করে প্যাস্টেল রোদের সরণ
সে কবে, কোথায়, নিয়ে ভাবতে পারে না।
বসে থাকি আর বালি কাঁকড়ের গান শুনি
ধ্বনি -শব্দ-শব্দ-শব্দ-ধ্বনি- হাহাকার
অসাধারণ ইন্দ্রাণী, পান্না ঝরে পড়া….
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা অলকাদি।
Opurbo…👍👌
সুন্দর।
ভীষণ ভালো লাগলো।
প্রতিটি লাইনে চমকে দেয় এমন কবিতা। অসাধারণ।
অপূর্ব, আপনার কবিতা ।