কবিতাঃ গাছ অথবা মানুষ – অনিরুদ্ধ সুব্রত

গাছ অথবা মানুষ
অনিরুদ্ধ সুব্রত

বয়সের বৌদ্ধিক টান টানের ছাল ফাটিয়ে দেয় একদিন
টেনে চলা প্রথা থেকে খানিকটা বেঁকে বসে গাছের মানুষ
অভ্যাসের চাদরটা ছিঁড়ে ছিঁড়ে সরাসরি রোদ্দুর নেয় সে,
শরীরটা আসলে ভিতরটাকে ঠকিয়ে এসেছে এতোকাল
আলোতে বাতাসে ধুলো ধোঁয়ার পাপ,যা ছালের নীচে থাক ।
কেনা শ্রমিকের মতো রীতি বয়েছে গাছের মানুষ,কুঁজো হয়ে
মানুষের অরণ্যে যাপন যেন খামার বাড়ির লম্বা উঠোনে রাত
উৎসাহ মরে মরে গায়ে জমেছে সৌজন্যের বাকল, খসখসে
প্রান্তরের শেষ প্রান্ত জুড়ে মৃত্যুর-দর্শনে অভয়ারণ্যের বেড়া
এই ভাবে বৃক্ষসুমারি,ফেলা হয়েছে ক্রম সংখ্যা,গাছের মানুষের ।
কিন্তু দখলের রাজনীতির উপর দিয়ে একটা খালি পায়ের
মিছিল, একদিন দুদ্দাড় করে দৌড়ে যাবে— একথা ভাবতেই
মধ্য বয়সী গাছের শাখা প্রশাখা গুলো রাতভর সাজে ফুলে ফলে
তার পর সকালের রোদ্দুরে নিমন্ত্রণ করতে থাকে মধুর টেবিলে,
যেখানে দাঁড়ানো নিষিদ্ধ ছিল, সেই বারান্দায় শুরু হয় উৎসব
একে একে চেয়ার টেনে বসে পাখি, প্রজাপতি, মৌমাছি,পোকারা
গাছের মানুষ পরিবর্তিত বোধে খুঁজে পায় তার জঙ্গলের জীবন ।

2 thoughts on “কবিতাঃ গাছ অথবা মানুষ – অনিরুদ্ধ সুব্রত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *