কবিতাঃ অলৌকিক সুখ – শুভ্রকান্তি মজুমদার

অলৌকিক সুখ
শুভ্রকান্তি মজুমদার


সবারই কেউ না কেউ একটা ছিল।
কেউ না কেউ একটা থাকে,
জীবন থেকে হারিয়ে গেলেও থাকে।
মানুষের বুকের ভিতর চোরকুঠুরিতে তার বাস ,
রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে,মানুষ যখন একলা বিছানা
একলা বালিশ,তখন তাকে ডাকে।
মানুষ তখন অনিদ্রায় ভোগে, শুরু হয় তার বুকের
ভিতর অবস্থিত একান্ত নিজস্ব জমিতে একলা যাপন।
স্বর্গ থেকে ভ‍্যান গখ এসে তার জমির ক‍্যানভাসে যত্ন
করে এঁকে দ‍্যান আশ্চর্য অপরূপ হলুদ সরষের ক্ষেত;
কিছু পরে সেই কেউ নারী পরীর সাজে নেমে আসে
সরষের ক্ষেতে।
মানুষটা তখন পরীর প্রেমিক হয়ে সেই পরীকে ছুঁতে
পারে। তাকে জড়িয়ে ধরে , আদর করে , কপাল আর
চোখের পাতায় একটা করে চুম্বন। বড়জোর খুব বেশি
হলে ঠোঁটেও একটা।
পরী তখন আনন্দে পাগল হয়ে যায় ,আকাশে উড়তে
থাকে ডানা মেলে, একসময় পরী ক্লান্ত হয়ে পড়লে,
মানুষটা পরীকে পাঁজাকোলা করে কোলে নিয়ে
ক্ষেতের পাশে তার কুটিরে নিয়ে বিছানায় শুইয়ে দেয়।
মানুষটা তখন পরীর রক্ষী হয়ে গিয়ে,পরীরানীর দ্বাররক্ষকের কাজ করে।
ঘুম ভাঙলে পরী আবার নিজের জায়গায় ফিরে যায়,
ফিরে যায় তার কাছে, যার সাথে তার লৌকিক সম্পর্ক।
গভীর রাতে এমনটা প্রায়শই ঘটতে থাকে মানুষটার সাথে।
মানুষটা ক্লান্ত হয় না, বরং মানুষটার আনন্দ বেড়েই চলে।
এভাবেই মানুষ এক অলৌকিক সুখ নিয়ে জীবন কাটায়,
বেঁচে থাকে যে যার যার মত করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *