ঘটোৎকচের কথা
পূর্ণেন্দু প্রসাদ ভট্টাচার্য
মা হিড়িম্বা রাজবংশী গারো কোচ
বাবা পান্ডব ভীম, আমি ঘটোৎকচ-
কাকা অর্জুনের তিন বউ আমার কাকিমা
তাদের গর্বের নেই সীমা।
অভিমন্যুর মা দ্বারকার সুভদ্রা
ইরম্মদের মা উলূপী নাগা
বভ্রুর মা চিত্রাঙ্গদা মণিপুরী
চার ভাই ছিলাম পরস্পরের জুরি-
কুরুক্ষেত্রে দেখিয়েছি বাহাদুরি।
আরো হাজার বছর আগে
সেই জন্মেছিলাম রামবাহিনীর পুরোভাগে
কুরুক্ষেত্র-যুদ্ধের পর
কেটেছে পাঁচ হাজার বছর।
ভিন্ন ভিন্ন জন্মে ছিলাম আমরাই মহারথী
কখনো ছিলাম শিবাজীর সেনাপতি-
কখনো আবার নানা সাহেবের বাহিনীতে,
বাঘাযতীন আর রাসবিহারীর মিতে,
ভগৎ সিং, সূর্যসেনের সঙ্গী-
নেতাজীর আজাদ সেনার রণ রঙ্গী –
আমরা চার ভাই –
ছিলাম আছি থাকব সর্বদাই।
আশ্চর্য নয় !
প্রতিটি ভারতবাসী
যেন এমনই হয়।
বলিষ্ঠ কলম, অসাধারণ সৃষ্টি।
অপূর্ব। শতোর্ধ কবির চেতনা, কবিতার মুন্সিয়ানা আমাদের আজ ও বিস্মিত করে।। সশ্রদ্ধ প্রণাম।
অপূর্ব! কী অদম্য প্রাণ শক্তি। আজ তাঁকে প্রণাম জানাই।
শরীর অনিত্য। আত্মা নিত্য। অমর। কবি শরীরের উর্ধ্বে আত্মার সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাই যুগে যুগে সমস্ত বীরের মধ্যে নিজেই। ছিলেন ।আছেন ।থাকবেন।