মিলন
শংখ ভট্টাচার্য
কোবিড-১৯ -এ আক্রান্ত বিশ্ব। লক্ ডাউন চলছে বাংলাতেও। সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকতে থাকতে হাঁপিয়ে উঠেছে মানুষ।- একবার এসো না, প্লিজ…রিয়া’র এই আকুল প্রার্থণা উপেক্ষা করতে পারে নি অর্ক। বিকালে সাইকেলে রহনা দেয়। চার্জ নেই দেখে ফোনটা বিছানার ওপর ছুঁড়ে ফেলে বেরিয়ে যায় । হাওড়ায় সাইকেল রেখে জলপথে পার হয় গঙ্গা। কুটিঘাটে নেমে ধীরে ধীরে হাঁটতে থাকে অর্ক। গঙ্গার বুকে ভাসতে ভাসতেই সূর্যকে ডুবতে দেখেছে অর্ক। অনেকটা পথ হেঁটে রিয়াদের বাড়ির সামনে দাঁড়ায় । সন্ধ্যার অন্ধকার ঘনিয়ে এসেছে। খোলা দরজা দিয়ে ধীর পায়ে সিঁড়ি দিয়ে উঠে রিয়ার ঘরের সামনে দাঁড়ায় । কাঁচের বন্ধ দরজার ওপারে ছায়াময় রিয়া, এপারে অর্ক। একটা নীলাভ আলো ভেসে ওঠৈ ওপারে। ক্লান্ত, শীর্ণ রিয়া’র দু’চোখে অনেক কথা।দুজনের হৃদস্পন্দনে দু’জন মিলিত হয়। বাড়ি ফিরে, দুপুরে পাঠানো একটা ছোট্ট ম্যাসেজ দেখে অর্ক।- রিয়া চলে গেল। ওর আত্মার শান্তি কামনা করো।
এমন করে স্বজনহারা হচ্ছে কতজন! ভালো লেখা।
ছোট্ট সুন্দর গল্প।