অনিন্দ্য গোস্বামী
L
বাবার কাছে বায়না করে বাচ্ছা পটাই পেল
ওর ই মাপের দুটি চাকার সাইকেল মিশকালো।
চলতে গিয়ে রাস্তা ছেড়ে এপাশ-ওপাশ পড়ে,
পিছন থেকে পথের লোকে বকা বকি করে!
অসাবধানে গুতো খাওয়ার ভয়টাও তো খাঁটি।
দুর্ঘটনা ঘটলে পরে সব মজাটাই মাটি।
পথে ঘাটে লোক জনকে করতে হুঁশিয়ার
পটাই বলে সাইকেলে L ঝোলবার দরকার।
ঝুলিয়ে দিয়ে L লেখা দুই কাগজ দুই পাশে
পটাই চলে রাস্তা দিয়ে অনেক অনায়াসে।
দুর্ঘটনার দায় তো এখন তার ঘাড়ে তে নয়,
রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে যারা, তাদের এখন ভয়।
এই ব্যবস্থা খুব সুবিধের বুঝলো পটাই যেই
L কে বলে “চির দোসর, তোমার জুড়ি নেই”।
ছোটো পটাই বড় হয়ে কাজে যখন গেল
প্রথম দিনই “শিখছি আমি” প্রচার করে দিল।
বিয়ের নতুন পাঞ্জাবিতে সেলাই এ লেখে L
L এর জোরে আজীবন ও বাঁচিয়ে যাবে ফেল।
কোলাহল
গোধূলির পর ফিরে গেলে ঘরে রঙ,
প্রসারিত মাঠ কান পাতে অবসরে।
আকাশের ক্রমাগত কালি পড়া দেহে
গুজবের মত অগণিত তারা ফোটে।
দেরি হওয়া রাতে তারাদের কোলাহল
গাঢ়তর হয়ে নীরবতা যেন আঁকে।
শুধু এক ধ্বনি সাবধানে আনে কথা,
অগণিত ধ্বনি সমবেতে কথা ঢাকে।
বেশ ভাল দুটো কবিতাই। L ছড়াটির মধ্যে দিয়ে কবি অদক্ষতার অজুহাত দেখাতে চেয়েছে কৌতুকের ভঙ্গিতে। খুব ভাল লাগল।
ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ