বায়ু দূষণ
রহিত ঘোষাল
কিছু দূরত্ব খুব কাছ থেকে দেখতে পাই,
চলন্ত গাড়ি থেকে নেমে হাত খামচে ধরি,
তবে সেও তো একটা অন্য রাস্তা ধরেছে,
চোখ মুখ মুছে উঠে বসে মনস্থির করেছে,
প্রতিটা পথ পরস্পর বিরোধী।
সেই সব পথের ক্ষতবিক্ষত জমাট বাঁধা রক্ত আর
নটীর উন্মাদের মতো অট্টহাস্য-একাকার হয়ে যায়,
ঠিক যেভাবে সারাদিন পর খোলা উদ্যান
আড়াল করে চুম্বনরত আদম ইভকে,
ধারালো দীর্ঘ আগুন স্নান করে ঘরে আসে যেভাবে,
ঠিক ওই ভাবেই মহাসমুদ্র সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে
টিউবওয়েল পাশে রাখা গামছার সাথে।
কারখানা থেকে ফেরার পথে শ্রমিক কলোনিতে
পচা মাছের যে দুর্গন্ধ আরেকটা ছিপছিপে গড়নের
গলিতে ঢুকে পড়ে,ওখানে মুখস্ত করা হচ্ছে বারান্দায় বসে উনিশের ঘরের নামতা,বাঁশের খুঁটিতে হাত রেখে দীর্ঘকালের যক্ষা সশব্দে একটু একটু করে ডুবে যায়।
আশাহত হয় গবেষণা করতে থাকা শরীর
আর তার ভেতরে যে শরীর সেই শরীরের ভেতরেও যে যমজ অস্তিত্ব,ইন্তেকাল হয় সব সৎ অন্বেষণের,তবু থেকে যায় নিষ্পাপ লিপস্টিক,সংকেত খুঁজতে গিয়ে দেখা যায় অক্ষর সব গায়েব হয়ে যাচ্ছে ।।