ফিরে ফিরে আসি
বিধান দত্ত
কখনো কখনো প্রবল সংসারী মনও
বাউন্ডুলে হতে চায়।
সুতোকাটা ঘুড়ির মত, মেঘের ওপরে গিয়ে
ভোকাট্টা হারিয়ে যায়।
মাঝিহীন, বৈঠাহীন নৌকোয় চিৎ হয়ে শুয়ে
অজানা ভাটির পানে।
বাঁশের সাঁকো পেরিয়ে কোন এক অচীনপুরে।
কৈশোরের দুরন্তপনা প্রাণ ফিরে পায়
কাঁকড়া নদীর হাঁটুজলে,
মনপুরা দ্বীপে এসে মন পুড়ে ছাড়খার হয়;
বাঁশবনে শটিফুল আর বন বেলি,
সাহসী ঘুঘুর সাথে বৌচি খেলি।
একঝাঁক পানকৌড়ি চমকে উড়ে যায়।
শরজিগা গাছের ছায়ায়
আর অমলতাসের সোনাঝরা হাসিতে,
প্রৌঢ়দেহে কিশোরের মন।
বান্নির মেলায় গিয়েও মানুষ যেমন ভাত রেঁধে খায়,
আত্রাই-কাঁকড়ার মোহনায় গিয়েও
যেমন পূর্বপুরুষদের পিন্ডদান করে,
অগভীর জলে স্বাধীন বৈরালি মাছ যেমন
আটার লোভে ঝাঁকে ঝাঁকে ফাদে এসে ধরা দেয়-
ভাঙ্গা বান্নির মেলা ঘুরে আমরাও
গৃহে ফিরি বৈরালি মাছ নিয়ে।
শ্মশানঘাটে মহাদেব বসে থাকে
নন্দী-ভৃঙ্গিকে দুপাশে নিয়ে।
আমরা মহাদেব হতে পারিনা,
কারিপাতা সংগ্রহ করে ঘরে ফিরি।
কী এক অদৃশ্য সুতোর টানে
ফিরে ফিরে আসি এ জগৎ সংসারে।
দারুণ উপলব্ধির উপস্থাপন প্রিয় কবি