আমার কবিতারা
শুভ্রকান্তি মজুমদার
আমার কবিতাদের কোনো পথ নেই।
আমার কবিতারা কোনো রাস্তায় হাঁটেনা।
আমার কবিতারা অতি সাধারণ, তাই আমার
কবিতাদের অনুষ্ঠানের মঞ্চে ডাকার জন্য
আমন্ত্রণ পত্র নিয়ে ডাকপিয়নের হাঁকাহাঁকি নেই।
যেহেতু আমার কবিতারা কোনো বড়লোক নয়,
তাই তার উপহার কেনার সামর্থ্য নেই।
অতএব আমার কবিতারা বাইক বা গাড়ি চড়ে
কোথায়ও নেমন্তন্ন খেতে বা আমন্ত্রন
রক্ষা করতে যায় না।
আমার কবিতাদের দামী স্যুট পোষাক,শিক্ষা
সহবত নেই তাই তারা কোম্পানির বড়কর্তা বা
কেউকেটা হতে পারেনি ,অথবা মহার্ঘ ঢাকাই
জামদানি, মূল্যবান গহনা নেই বলে তারা
তেত্রিশ নম্বর বালিগঞ্জে অভিজাত মধ্যাহ্ন ভোজনে
যেতে অপারগ। তারা অনেকটা সাদামাটা
সবুজ পাড়ের শাড়িতে পাশের বাড়ির দিদির মত।
সকাল বিকেলে চা, মুড়ি আর দুপুর ,রাতে
ডাল,আলুভাজা সুক্তোতেই খুশি।
আরো জানাই,আমার কবিতারা মোটামুটি স্থানু,
অনেকটাই ঘরে অন্তরীণ,স্থির হয়ে অথবা শুয়ে বসে
নিজের মতো করেই তাদের
বেশিরভাগ দিন কাটে।
কদাচিৎ,কখনো সখনো আমার কবিতারা যদি
ঘর ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে পড়ে, তখন সে নদীর
কাছে ছুটে যায়, জলের সাথে প্রাণের কথা বলে।
কখনো আবার সেই কবিতারা বাড়ির কাছে
বৈকূণ্ঠপুর জঙ্গলে ধেয়ে যায়, তখন সে
কোনো এক প্রাজ্ঞ বৃক্ষের সাথে মৌণমূখর।
আর এসব সম্ভব না হলে বাড়িতে যে এখনো
একফালি জমিতে ছোট্ট বাগান আছে, সেখানে
আমার কবিতারা ফুল হয়ে ফোটে। কখনো বেলি,
কখনো গন্ধরাজ, কখনো বা মিষ্টিযুঁই।
প্রেসিডেন্সির অসম্ভব মেধাবী অচ্যুত আজ
বেঁচে থাকলে আমার কবিতা পড়ে হয়ত বলত,
” দাদা তোমার লেখাগুলো দশমিক শূণ্য তিন শতাংশ ও কবিতা হয়না।”
এসব আমি জানি,তবু আমার কবিতারা এরকমই।
তবুও এভাবেই আমার কবিতারা বেশ দিব্বি আছে।
বাহ খুব সুন্দর।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। 🙏🙏
ভালো লাগলো।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। 🙏
যাঁর কবিতারা বাড়ির এক ফালি উঠোনে ফুটে ওঠে, তারা বড় সোহাগী। তাদের আদরে রেখেছেন দেখে আমরাও তৃপ্ত হয়ে যাই। ভালো থাকুন ভাই।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। 🙏
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। 🙏