আমাদের বায়োস্কোপ
অমিত মজুমদার

সব বুঝি বায়োস্কোপের দেশী মাছ আর চালানি
যে আমার গায়ের ব্যাথা আমি তার হাড় জ্বালানি
এই হারে বাড়তে গিয়ে কেটে যায় মারের সুরও
অস্থিতে লুকিয়ে ফেলি গুটিকয় হাড়ের গুঁড়ো
ফাঁপা এই হাড়ের ভেতর হাঁক মারে মরণ জ্বালা
সেও আসে মুচকি হেসে হাত পেতে বরণ ডালা
বরণের সময় হলেই প্রদীপের সলতে ঘাঁটি
কিছুটা উস্কে দিয়ে সেই কথা বলতে হাঁটি
হাঁটি আর বিশ্রামে যাই খাটিয়ার চাদর সেজে
তবুও প্রশ্ন থাকে লেজ ছাড়া বাঁদর কে যে ?
ছাড়ো তো! বাঁদরামি কি শুধু এক লেজের আছে ?
আমি খুব ভয় পেয়ে যাই তার এতো তেজের কাছে
তেজ মানে তেজপাতা না, লংকা ও আদার বাটা
গা’য় মেখে পাখির বাসা তারপরে গাধার হাঁটা
গাধা ঠিক জল খেয়ে যায় তবে তা ঘুলিয়ে দিয়ে
তার গায়ে গামছা প্যাঁচাই জামাটা খুলিয়ে নিয়ে
আমি আর আমার গাধা হাড়গুঁড়ো সাফাই করি
হাত খুলে দুই পা তুলে লং রানে লাফাই দড়ি
এ সাফাই মানেই হলো দেশ জুড়ে তরজা তোলা
মাটি ফাঁক, তার ভেতরেই পেছনের দরজা খোলা
সারাদিন ব্যস্ত থাকি মাটিতে ক্রাইম পোঁতায়
আমাদের বায়োস্কোপে টিফিনের টাইম কোথায় ?
বাবুদের তালপুকুরে – ছন্দ মনে করায়। সুন্দর প্রচেষ্ঠা।format টাও নজরুল মেনে করা যেতে পারে।
কি সুন্দর ছন্দবদ্ধ কবিতা! খুব ভালো লাগলো।