আত্মজ
পিনাকী দত্ত গুপ্ত
এ মুহূর্তে আমি বড় একা।
একটা গুহার মুখ খুঁজে খুঁজে খুঁজেই চলেছি
বাইরের শব্দ আসে মৃদু
পাখির কূজন আর তিরতির বয়ে যাওয়া নদী
গহন শ্রাবণ বারিধারা,
গুহার মুখটা তবু খুঁজে খুঁজে খুঁজেই চলেছি
দিকভ্রষ্ট কোন এক বন্য গুহামানবের মত
হয়ত ভেবেছি বহুবার….
সদ্য যে বিবাহিত মেয়েটির গায়ে তিল ছিলো
পিঠে ছিলো বাদামি জরুল
এখনও তাদের কোনো প্রতীকী আঁকিনি।
শরীরের বুনো গন্ধ, অনাবৃত যৌবনরেখা,
যাবতীয় জৈবিক স্নেহ
অন্ধকার যত বাড়ে, তত বেশি দৃশ্যমান হয়
আমার একান্ত কিছু অবৈধ অনাসক্ত রাত…
বসে আছি নতজানু হয়ে।
অরণ্যের গভীরতম কোণে, শতাব্দী পুরাতন
বৃক্ষেরা জানি জেগে আছে
জানি প্রলয়ের শেষে সুড়ঙ্গ-মুখ খুলে যাবে।
তারপর… চাঁদ নেমে এলে
বিবর্ণ ক্যানভাসে লিখে যাবো এই শেষ বার
নির্লিপ্ত প্রেমিকের মত
বিমুগ্ধ রজনীর নিস্পৃহ রমণীয় কথা।
সবাই আমরা নিজেদের মত করে একটা গুহার ম্মুখ খুঁজে চলেছি। সবাই আমরা বড় একা। তবুও বিচ্ছিন্ন ভাবে এই অনুসন্ধান…..
ভাল লাগল।
উৎসমুখ খুলে দেওয়ার এই চেষ্টা চিরাচরিত। আমাদের এখনও আদিমতায় বাস , মাঝখানে বিলাসব্যাসন যুক্ত হয়েছে শুধু আর কিছু নয়।🙂
মাধুর্য তো আছেই, তবে সন্ধান নিতে এগিয়ে যাওয়া যায়।