ষষ্ঠেন্দ্রীয়
সৌমী চক্রবর্তী
চোখজ্বলা রোদে কড়া পাহারায় ষষ্ঠেন্দ্রীয়
অতন্দ্র প্রহরীর মতো জেগে;
স্তব্ধ চারিধারে ব্যাঙের ডাক বিশ্রীভাবে কানে এসে বাজছে,
একের পর এক হিসাব কষতে থাকা মন
সময়ের অলিগলি দিয়ে ফিরে যায়
কাটিয়ে আসা ভুলভুলাইয়ায়।
যেখানে মুখে লেগে থাকা মায়ের স্তনের স্বাদ;
ধোঁয়া ওঠা ভাতের ফ্যানগলা গন্ধ;
রোয়াকে বসে আম-আচার কদবেল এর মনমাতানো আঘ্রাণ
সবটুকু মিলে একখন্ড স্বর্গ।
থমকে যাওয়া দিনগুলো
ফিরে পাওয়ার ব্যর্থ চেষ্টায়
এগিয়ে চলতে চলতে
যখন কোন এক সদ্যজাতর আঙুল
বলিষ্ঠ হাত আঁকড়ে ধরতে চায়;
আবার স্কুল শেষে ফেরার পথে
এক্কা-দোক্কাদের হাতে ছোট্ট ঠোঙায়
কদবেল-রকমারি আচারেরা
একে অপরকে টেক্কা দেয়
তখন ভুলভুলাইয়ার সেই গলিতে
দিনের অল্প আলো প্রবেশ করে
এক নিমেষে উড়িয়ে নিয়ে যায়
সেই সময়চক্রে,
যেখানে একদিন অবাধ গতিবিধির রূপকার
আজ পার্শ্বচরিত্রে পরিণত হয়ে
পরবর্তী প্রজন্মের নিঃশ্বাসে
নিজেকে খুঁজে বেড়ায়।
আমরাও মাঝে মাঝে তার সঙ্গী কোলাব্যাঙ হয়ে
স্বাদকোরককে জাগিয়ে তুলে
লম্বা জিভ দিয়ে কৌশলে জলে ভেসে
শিকার করি ম্যালেরিয়া মশার লার্ভা –
জলজ শ্যাওলা- জল ফড়িংদের।
দিন ফুরালে আবার যখন শীতঘুমে ডুবে যায়
সব কৌণিক বিন্দুর দল,
ঝিঁ ঝিঁ আর গুবরেদের বনভোজনে সামিল হয়
অজস্র নীল মাছির ঝাঁক,
তখন বা তারপরে পৃথিবী প্রদক্ষিণের ঠিক প্রাক্কালে;
ষষ্ঠেন্দ্রীয় সচলভাবে অজ্ঞানতার ভান করে
পেটফোলা দাঁড়াসাপ হয়ে
নির্জীবভাবে পড়ে থাকে রাস্তায়।
বাহ! খুব ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ।💐🙂
চিত্রকল্প অসাধারণ। বেশ ভাল লাগল কবিতা টি।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।🙏💐🙂