জ্বলে নক্ষত্রমণ্ডল
অরিন্দম মুখোপাধ্যায়
১
জ্বলে নক্ষত্রমণ্ডল; তারা ততই উজ্জ্বল যত বাড়ে দীর্ঘ দূরত্ব
ঘন সবুজ ঘাসে শুয়ে বিশ্রাম নিতে চায় চলমান রেখা
আবার সপ্রতিভ দীপ্তি নদীর ঢেউ খেলানো পতাকায়
এবং ক্ষীণ হাল্কা ভেজা বাতাসে তোমার শুভ্র সফেন ওড়না
উজ্জ্বল পূর্ণ চাঁদনী রাতের আভায় ব্যপ্ত বিছিয়ে দিয়ে
ফুল ফোটানোর গান গেয়ে, ফিরিয়ে দাও তাদের অস্তিত্ব
#
এই অনুভূতি, মানুষের দ্বারা শাসিত হওয়ার ভয়ঙ্কর অনুভূতি
যিনি আমাকে উপর নিচে তাঁর মুখোমুখি রেখেছেন, বিপরীতে
এবং যখন আমি ক্ষুধার গভীর অন্ধকার রসাতলের অতলে
শুধু একটা উপায় খুঁজতে গিয়ে দেখি তোমার মায়বী হাতে
আমার আবেগের তালে তালে রাশিয়ান ব্যালেট মিউজিক বাজে
ঠিক তখনই ক্ষুদ্র; সর্বনিম্ন মানে টেনে নামিয়ে আনে আমার নিয়তি।
#
তারপর বুঝতে পারি এই পৃথিবীতে একটা উদ্দেশ্য আছে। এবং আমি কাগজে কলমে বলো কার চরিত্রের অপূর্ণতা বিচার করি? এবং এটা অনেকগুলো মুহূর্তের সমাবেশ, একটা দীর্ঘ সময়, দুটো সময়ের মাঝামাঝি। এছাড়া কি কোন উপায় আছে! যার প্রতিটি দিন প্রতিটি মুহূর্তে ঘুমের মধ্যে সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া ব্রিগেড যার চারিদিকে; এখনো যুদ্ধের ছবি উড়ছে। হ্রাসপ্রাপ্ত আত্মা মাটির অবশিষ্টাংশ; সম্মানের উপসংহার যা তর্জনীর আঙুল নাড়িয়ে চারিয়ে বাকিয়ে কিম্বা জিভের বিভিন্ন আকৃতিতে বোঝায় যে সে লজ্জা সরমের মাথা খেয়ে বসে আছে। আমিতো হৃদয় পুড়িয়ে ধোঁয়াটে অন্ধকারাচ্ছন্ন সময় পেরিয়ে রক্তবর্ণ গানে ভাষা খুঁজে ফুরি।