একা
জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়
হাত ধরার গল্পটি মনে রাখে কে?
সে-সব বন্য কাহিনি,ভুলে যাওয়া ভালো
শুধু জলের ভেতর কিছু অনুপম আঁকিবুঁকি
বাজ পড়ার আগে নাকি পিঠের রোমে ঘাসবন
হয়তো পঁচিশ বার দেখেও ঝটকা লাগেনি
কোনো একদিন চেনা মানুষের আনমনা না-ছুঁই
বুকে বাজে মনোহরের কথাবলা ঢোল, নন্দ-সানাই
সে-ও কিছু সমার্থক,সাদামাঠা দুটি চোখের উজ্জ্বল
জাদুটানে ঘোর রঙের জলসা বুকের হাপর
প্রথম ছোঁয়ার পর প্রথম প্রস্তাব সে-সবও মামুলি গল্প
ছাদের কার্নিশে হাঁটা বা তপোবন পাহাড়ে ছেঁড়া তার
ঝোলাঝুলি নির্ভুল জানে পচাগল্পের আপেক্ষিক
পড়শিচোখের ভাষায় বরফ ছুরি আর বিছুটির ধার
রোগী জানে বাধা-রা খাড়া খুব পাহাড়ের দল
অনেক আবর্জনা ঠেলে সংসারের নৌকো টলমল
ঝড়খালি বনে কাঠ মধু মোম জোয়ার বিশ্বাসে বাঁচা
ভাটা টানে বড়ো শিয়াল কুমির কামট ছেঁড়া স্বপ্ন
তবু সেই অলৌকিক মেখে সম্পর্কের নোঙর তীব্র বাঁধনে স্থির
মাঝ কিছু পুতুলের সুখ
মাত্র ক-টা বছর চিরস্থায়ী বাঁধনের ঘোর ভাঙনের মুখে
নোনাজলে ডুব বা মরুঝড়ে মুখ একাকী কেবল
নির্বাসনে কোনো রাধা নেই অকরুণ বাধার রাক্ষস
গিলে নেয় কথা সুর চিত্রকলার রঙিন বিন্যাস