আমার বিরহের দিনে
অরূপ গুছাইত
কর্ণসুবর্ণের ইতিহাসে পদচারণা
সুনিবিড় প্রত্যয়ে। ডানা মেলা শুরু।
দৃঢ় আলাপনের মাঝে চৌরাসিয়ার বাঁশি-
মালকোষ? মনে এক দ্বন্দ্ব।
না কি রূপনারায়ণের ধারে বসে
শুনতে পাওয়া জলের একাকী আওয়াজ,
না কি, রেললাইন ধরে হাঁটার ফাঁকে
জঙ্গল থেকে আসা বুনো মোরগের ডাক!
দিগন্তের গায়ে লাল আলো ঢেকে
বৃষ্টি নামে। প্রশান্তির বৃষ্টি।
লাল জামাটা থেকে শুরু করে
আমার রাগ, উৎকণ্ঠা, আদর, ভালোবাসা-
সব কিছু মেঘ হয়ে ঝড়ে পড়ে।
নিঃস্ব হয়েও হাঁটতে থাকি, হাঁটতে থাকি
বিসর্জনের পথে যেন হাঁটা-
শেষে মিষ্টি পাবার লোভে।
রাত তখন বেশ গভীর-
পৌঁছে যাই খেঁজুরি বন্দরে।
শ্মশান যাত্রার ক্লান্তিতে
চোখ বুজে আসে যেন,
অতিবৃদ্ধ এক শাল গাছ
ডেকে বলে, ‘‘তাড়া কিসের
বিরহ যাপনের দিনে-
দেখো, অঙ্কের শেষটা মিলবেই শেষে।’’