গৌতম কুমার গুপ্তর কবিতা
কথা ও কাহিনী
অর্ন্তগত আছি
রক্তমাংসে শাখা প্রশাখায়
প্রেমে অপ্রেমে ঘৃণার্হ প্রকরণে
চোখের জলে ধুয়ে যায় আমার
চিরায়ত বোধ ও ব্যাধি
স্হির নির্ণয়ের প্রভূত দৃকপাত
আমাকে ব্যপৃত রাখে
আমার সীমাবদ্ধ আকাশের ওপরে
উড়োজাহাজের ডালপালার অদৃশ্যে
কেটে যায় আমার মধ্যবিত্ত সময়
অর্ন্তগত দেহের ভিতর বসন্ত রক্তিমা
কখনো বিঁধে দেয় সূচাগ্র
মৌ- পতঙ্গের লালায়
অভিষিক্ত হয় আমার পৌরুষ কথা
অর্ন্তগত আছি তাই
কথা ও কাহিনীর প্রতিদিনে
………………
রূপসা
বিনুনী পড়ে নেবো তোমার?
ক্লিপের প্রযুক্তি দেখে নেবো?
কৌশলে সেফটিপিন গাঁথা
তোমার সাজসজ্জা।
কুঁচির বিন্যাসে ছড়িয়ে দিচ্ছো
শাড়ির তাজমহল।
আজ এই কূটির প্রাসাদে
আমার মেহফিলে তুমি নূর।
আজ তোমাকে মুখস্থ করে নেবো
বানান ও বাক্যের তর্জমা সহ
ছন্দ ও অলংকার।
রূপ পড়ে নেবো তোমার?
………….
জ্যামিতি
ধরো শুরুটা করলে তুমি
আমিও আছি অগাণিতিক মাঝে
আমাদের চারিদিকে বলয় বিশ্বাস
ত্রিভুজ ট্র্যপিজিয়ম রম্বাস আয়তাকার
প্রভু পীথাগোরাস
সৌজন্য রেখার অসংখ্য গণিতচিহ্ণে
বিশেষজ্ঞ তুমি চক্রব্যুহ জানো
শিক্ষানবীশ আমি অসংখ্য হিজিবিজি টেনে
ভারতবর্ষকে দাঁড় করালাম লেখচিত্রে
ম্যাপের চারপাশে তীরবিদ্ধ প্রতিবেশ
ধীরে ধীরে নেমে আসছে করাল চিহ্ণ
ভন্ড সমস্ত বুজুরুগি অগ্রাহ্য করে
নিপাতনে সিদ্ধ পরীক্ষাগারে
তোমার নিঁখুত স্ফটিক কেলাস
আঘন এই চরাচরে
প্রকৃত সমন্বয়ে
শুরুটা করলে তুমি
সমূহ ধন্দের মাঝেও
অনবরত বাতাস করছি আমি
শেষের আগে
অন্ততঃ একবার আমাকে ডেকো
আরো সহস্রবার বেঁচে
তোমার গণিত যেন উপেক্ষা করতে না পারি
কারণ
শেষটা দেখে যেতে চাই একবার