কবিতাঃ শিশির আজম

শিশির আজম

কসাই
♦

আজ যদি আমরা পেতাম এমন একজন কসাইকে
যে
ধারালো দায়ের এক কোপে
নির্ভুলভাবে
সততার সঙ্গে
অটল দৃঢ়তায়
পৃথিবীর শরীর থেকে কেটে ফেলতে পারতো অসুখ

সুন্দরী মেয়েরা কি ইঁদুর খায়
♦

সেমিনারকক্ষে ব্লু-অরেঞ্জ টি-শার্টের এক সুন্দরী মেয়ের সঙ্গে
আমার দেখা
আর কয়েকটা ই্র্দুর
এই নিয়ে এক সপ্তায় শ-খানেক সুন্দরী মেয়ে
আর হাজার খানেক ইঁদুরের
দেখা পেলাম

রক্তের খনি
♦

যে খনিতে আমরা কাজ করি সেটা রক্তের খনি।
সোনার খনি
তেলের খনি
কয়লার খনি
আরও কীসের কীসের খনি আছে আপনারা জানেন।
কোথায় রক্তের খনি জানেন না,
যদিও
রক্ত আমার
খনি আপনার,
আর
মনে রাখবেন রক্তের বিষক্রিয়া অতি মারাত্মক!

বরফ
♦

আজকের সকালের এই কুচি কুচি বরফ এতো মর্মান্তিক
বাড়িতে গিজগিজ করছে লোক
যার যার বরফ
যার যার শ্বাসের সঙ্গে গলে পড়ছে

অথচ একদিন বৃষ্টির উঠোনে
এই কুচি কুচি বরফ
কুচি কুচি রোদ
কুচি কুচি অন্ধকার জানলা

Master of Suspense
♦

আলফ্রেড হিচকককে আমি চিনতাম
ও আমার বন্ধু ছিল
স্কুলে গাদা গাদা বই পড়তো গণিতের সূত্রসহ
কিন্তু পরে বইয়ের প্রতি ওর প্যাশন আর ছিল না
কবিতা ছিল খুবই বিরক্তিকর
নাটক ভাঁড়ামি
মানে ও তাই মনে করতো
কখনো স্টেডিয়ামমুখো হয়নি
ফুটবল খেলা দেখাটাকে ওর কাছে চরম নৈরাজ্যকর মনে হতো
সভ্যতা হলো পাদ্রিবাবার টুপি
ক্ষুধা ধর্ম
স্বামী-স্ত্রীর যৌনতা নীতিসম্মত বমি
আসল ব্যাপার হলো
ওর শৈশবটা ছিল খুবই নিরানন্দের খুবই অসহনীয়
যেন ভাইকিংদের পরিত্যাক্ত চরে আটকে পড়া জাহাজ
কৈশর এ তাই
ও চেয়েছিল
যৌবনটা ওর নিজের মতো হোক
ব্রহ্মকারু মাকড়শা আর ৩৩০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট রক্তপাতসহ

বুঝতেই পারছেন ব্যাপারটা সহজ ছিল না