পরিবর্তন
শুভ্রকান্তি মজুমদার
আমাদের দুটো রান্নাঘর ছিল,
একটা আমিষ,অন্যটা নিরামিষ।
ঠাকুমারা চলে যাবার পর দুটো মিলে
একটা হল। এখন একটাই আছে,
তবে সেটা কিচেন হয়ে গেছে।
কিছুই বুঝতে পারি নি, টেরও পাইনি।
সকালে বাথরুমে যাব বলতেই, সকলে হেসে খুন!
ওটা নাকি ওয়াশরুম হয়ে গেছে।
আমাদের গামছাগুলোও যে কবে টাওয়েল হয়ে গেছে,
বুঝতেও পারিনি।
আমাদের ছোটবেলার যাকে আমরা সিদ্ধার্থ
বলে চিরকাল ডেকে এসেছি, টাই কোট পরে
সে এখন “সিড” হয়ে গেছে। সমিত বলে এক বন্ধু
আছে আমার, তাকে কায়দা করে সামিট বল্লে সে খুব খুশি।
কঠিন অসুখে ভুগছি বলে,বড় হাসপাতালে যাই
আজকাল, সমস্ত বড় বড় ডাক্তারবাবুরা এখন
সবাই কনসালট্যান্ট হয়ে গেছেন। সবাই এখন
সহকারী রাখছেন,সহকারীরা কাগজপত্র দেখে একটা
প্রেসির মতো বানিয়ে দিচ্ছেন ডাক্তারের লেটার হেডে,
তারপর ডাক্তার বাবু আরো সংক্ষিপ্ত।
তাদের দর্শন দক্ষিনাও ডবল হয়ে গেছে।
শুধু ঠাকুমার হাতের বাতাবিলেবু গাছটা আর বাবা মা,
পূর্বপুরুষেরা আগে যেমন ছিলেন ছবিতে ঠিক তেমনই আছেন,
আগের মতই তাঁরা অপরিবর্তিত।