রহিত ঘোষাল
উন্মাদিনী
রূপটাকে কাজে লাগালে?
আশা ছেড়ে দিলে শীতলক্ষ্যায়,
শেষ দিন আমিও গেছিলাম তলিয়ে,
ইঙ্গিত আস্তে আস্তে আত্মার সাধন-ভজন জানিয়েছে লাশ থেকে লঞ্চডুবি নাগরিককে,
দৌড়,দৌড় বুঝতে মাঠে,অর্ধগলিত মুখমণ্ডল বুঝতে ভেসে এসেছে নাবিক।
দখলমুক্ত ঐক্য,লক্ষণমুক্ত মাটি,নির্ধারিত নিষেধাজ্ঞা জোকাস্টার লোকগথায়।।
বোরাক
তুমি নিজেকে বাখুব বুঝিয়ে বলতে পারো।
আমি আসমানে বোরাক দেখে অবাক হতে থাকি।
এ তল্লাটে মাঝে মাঝে কিছু তপস্বী ইশারাতে উজাড় করে হাহাকার তিথি।
আমরা শুধু শুধুই পরিচিত।
কিছু বছর সন্ধ্যা কাটেনা।।
ঘুম পাড়ানি মেসো
লাইনটা দোলনার মতো সুখী,
স্বনির্ভর,গনির্ভর ,খনির্ভর,কনির্ভর।
চাপিলার ঝোল খাবো,তারপর কানামাছি খাবে প্রতিপত্তি আমার,ছেলেপুলে মহিলা-পুরুষ,দশ চাঁদের আলো জিজ্ঞেস খুঁজতে এসে ষন্ডাগুন্ডা হয়ে সুন্দরীদের ছবি তুলে ক্ষীর খেতে খেতে পলকা স্বাস্থ্যে বাড়ি ফিরবে কেতাদুরস্ত।
চলো ভেবে দেখা যাক,সব কিছু বাম দিকে রাখা?
কাদা কাদা আজিমপুর দাপিয়ে বেড়াতে এসে কিছুদিন গায়েব হয়ে যাই।
যানজট;দুপুর দু’ইটা আটকা থাকে ঘোলা ছবিতে,
এখানে খেলনা কেল্লায় অপ্রাসঙ্গিক এক পশলা ঘুঙুর।।
অকথিত
যে গুহার ভেতরে জীবনের শিখা দপ দপ করছে,
সেখানে আজরাইলকে তার প্রাবরণের ভেতরে তাড়াতাড়ি কিছু একটা লুকাতে দেখলাম একদিন।।