গুচ্ছ কবিতা
দীপঙ্কর বাগচী
ক.
গুম মারা আকাশটা দেখলেই আমি বুঝি
হয়তো বা ফুরিয়ে এল দিন
দিনের মাকরশা গুলো তৎপর হয়ে ওঠে ইদানিং …
#
কোন এক আজীবন সংগ্রামী কবি বলেছেন,,,
“ইদানিং যা দেখি সব সত্য হয়ে যায়”
কথাটি কি এরকম ছিল, স্মৃতি থেকে… যা কিছু লিখেছি আমি!!!
#
স্মৃতি একটা কুকুরের মত… কিন্তু তোমার কি একবারও হয়নি মনে
ওই অধরা জিনিসটি কখনো বা
সুখ জাগানিয়া আবার কখনো দুখ জাগানিয়া…….
#
বিছানায় শুয়ে শুয়ে নিঃসঙ্গ আমি যে!!! কি কথা বলেই যাচ্ছি
সারাদিন সারারাত এই অঝোর ধারায়—–
খ.
আমি দেখি একটি রাত্রি আবার এসেছে নেমে
পাঁচিলের ওপরে যে বিড়ালটি এতক্ষন
ছটফট করছিল
সে কেমন ধীরপায়ে হেঁটে হেঁটে
বুদ্ধ পূর্ণিমার এই রাত্রে শুয়ে পড়ছে পরম নিশ্চিন্তে
#
ও কি ঘুমিয়ে পড়েছে! নাকি আমার অর্ধেক শতকের কৌতুহল
আবার মেলেছে ডানা।
#
এইভাবে বসে থাকা শুয়ে থাকা ক্ষয়ে যাওয়া
শিরদাঁড়ার হাড় নিয়ে বেঁচে থাকা
আমার লাগেনা ভালো… তবু রোজ
সকালের আলো নির্লজ্জের মত এসে:::
#
আমার বেঁচে থাকা কে আরো খানিকটা নির্লজ্জ করে দেয়।
গ.
এই যে 50 পেরিয়েছি তার কি কোনই মূল্য আছে
একটা জীবনে!!!
এরকম কত শত প্রাণ
আমারই মত ছটফট করেছে,,,
#
তাদের কথা কি তোমার ভিতরে যে সকল দিনলিপি
প্রতিদিন লিখবে বলে ,শুয়ে আছো
ঘরের অন্দরে…
#
শরীরের রন্ধ্রে রন্ধ্রে একটা ব্যর্থ জীবন টানলাম।
#
কোথায় আকাশে, মহাকাশে কারা বাড়িঘর বানাবেন!!!
করা কোটি কোটি টাকা তুচ্ছ করে
এইসব করছেন—-
#
আর প্রতিদিন হাটে ঘাটে বাজারে বন্দরে,,,
ভিখিরির সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
ঘ.
এ শহরে গান নেই
এ শহরে প্রাণ নেই আজ
কল কোলাহল ক্লান্ত, অন্ধ দিন
ফিরেছে আবার।
#
বসন্তের পোকাগুলি ঘিরে আর
ধরে না কোথাও…
#
মরে যাবো আমি নাকি!!
তুমি ছাড়া বসন্ত ছাড়াও…
কথাঅন্ত
জীবন বস্তুত এক…ক্লান্তিময় দিনের বিস্তার—-
এ শুধু আমার অনুভব,,,
#
ভেবোনা শরীরে মনে, বিপর্যস্ত আমার স্বভাব।