নিঃশঙ্ক বেহুলা ভেলা
অনুরাধা চৌধুরী
এখনও ডানা ঝাপটায় মাতাল বসন্ত,,,
বর্ষার আকাশে মেঘেদের আনাগোনা
কাকের বাসায় পুঞ্জিভূত একতা,
ভূমধ্যসাগরে ঘনীভূত কালো মেঘের সঞ্চার
ছাপোষা গৃহস্থের পোড়ো মসজিদ-মন্দির
একমুঠো সোনা রোদ্দুর।
আড়াই কাঠা জমিতে একতলা দোতলা,
তিনতলায় চিলেছাদ, নোনা ধরা দেয়াল,
ভিজে গেছে অকিঞ্চনের টুকিটাকি সঞ্চয়
নিঃশব্দে গোছানো ছিল জীবন।
আরও কিছু ঋণ আছে আষাঢ়ে বা শ্রাবণে
অহেতুক ভালোবাসার কাছে।
চলন্ত কামরায় অদৃশ্য গাছ ফুল পাখি
কাপড়ের দোলায় ঘুমন্ত দেবশিশু
হু হু করে ছোটে মাটির ঘরবাড়ি
সন্ধ্যায় টিমটিমে বাতির ভূতুড়ে আলো।
আকাশে রটিয়ে দেব পাঁজরের ব্যথা;
শ্রাবণের জল ঢুকে যায় ভেতরে ও বাইরে!
জঙ্গলের পথে নিঃশব্দ কাব্যের সমাহার;
বোবা বাঙ্ময় ভাষা সুগভীর দীর্ঘশ্বাস ফেলে
সাধের নিরালা আশ্রয় আমার উবাস্তু হয়;
অঙ্গীকার নীল যমুনার জলে রাধার প্রণয়,
রজনীর গাঢ় অন্ধকারে আলিঙ্গনের আশায়
ছোটে বেহুলার নিঃশঙ্ক ভেলা।
উৎকৃষ্ট কাব্য