গন্ধ
মৌমিতা রাবেয়া
প্রচন্ড ভিড় বাসে গন্ধটা নাকে এল
খুব চেনা,
নিঝুম দুপুরের একাকীত্বের গন্ধ,
গরমের ছুটিতে বাড়ী শুদ্ধু লোক যখন ঘুমাছে,
অলস দুপুরে চিলে কোঠায় একা একা ওই গন্ধ পেতো।
অফিসে থেকে ফেরার পথে
পড়ন্ত বিকেলের মন খারাপের গন্ধটা আজ পেলো-
ছোটবেলায় বিকালে খেলার শেষে,
পুকুর পাড়ের ডুবন্ত সূর্য দেখতে দেখতে,
মন খারাপ করা ওই গন্ধটা পেতো।
সারাদিনের গুমোটের পর সন্ধ্যায় বৃষ্টির সোদা মাটির গন্ধটা খুব প্রিয় –
মায়ের গন্ধের মতো,
স্কুল থেকে ফিরে এসে মা কে জড়িয়ে ধরলে এমন- ই মাটি মাটি গন্ধ পেতো।
গভীর রাতে তারা ভরা আকাশের নীচে সে প্রাণভরে জীবনের গন্ধ নেয়,
সারাদিনের গুমোট ভাবটা কোথায় যেন উবে যায়।
এই জগত সংসারে নিজের অস্তিত্ব এর গন্ধ,
নিজের গন্ধ
অনেক গন্ধের ভীড়েও–
হঠাৎই পিছন ফিরে দেখি
সেই চেনা গন্ধ…
প্রথম পেয়েছিল ক্লাস টেন এ-
মঞ্চে মাইক্রোফোনের সামনে উদাত্ত কন্ঠে যখন উচ্চারণ করেছিল–
” জগতে আনন্দযজ্ঞে আমার নিমন্ত্রণ।
ধন্য হল,ধন্য হল মানবজীবন।”
সেই থেকেই চেনা গন্ধটার সাথে একান্ত যাপন।।