হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুটি কবিতা
গড়িয়ে গড়িয়ে
দুপুরে একমুঠো মুখে দিয়ে একটা গড়ানে জায়গায় এসে দাঁড়ালাম। সবাই বলল, এইসময় গড়িয়ে নিতে হয়। আমি বললাম, সবাই যখন গড়ায় তখনই তো উঠে দাঁড়ানোর শব্দ মুখে আসে। দূরের জিনিস কাছে দেখায়। আমার হাবভাব দেখে সবাই আমায় গড়িয়ে দিল। গড়াতে গড়াতে যখন একেবারে গড়িয়ে গেলাম তখনও সেটাকে ভাতঘুম বলা যায় না। বরং ভাতঘুম নাটকে পায়ের প্রস্তুতি ঝালিয়ে নেওয়া।
রঙের পৃথিবী
শুরুর দিকটা অনেকটা খেয়ে গেছে, যেন কেউ খেয়ে নিয়েছে অথবা যেন ঠিক ঠিক রঙ পড়েনি অথবা রঙ পড়লেও আসল ক্ষেত্র পর্যন্ত রঙ এসে পৌঁছাতে পারেনি। রঙের কথা থাকে, ডুবে থাকে গভীরে, চলতে হাঁটতে গেয়ে যায়। মনে হয় কিসের শুরু। একটা প্রবাহ। চলতে চলতে একটানা রঙের অধীন এক অঞ্চল। এই তো চারদেওয়াল। তাই আবারও চারদেওয়ালকে ভেঙে অন্য আর এক রঙের পৃথিবীতে মশগুল হয়ে যাওয়া।