আমি,আমরা ও তুমি
সুরঙ্গমা ভট্টাচার্য
একটা লেখার ভেতর দিয়ে হাঁটছি সেই কবে থেকে
এইমাত্র ন্যাসপাতি বাগান পেরিয়ে পা রাখলাম আখের ক্ষেতে। তিসি, বাজরা,যব কিম্বা দুলে দুলে ওঠা সরষের ভেতর উছলানো আলো দেখা বাকি।বাকি চেরি ব্লসমের গন্ধ জড়ানো ম ম বিকেলে কাফকা-অনুসঙ্গে বেহালা বাদনের ফোঁটা ফোঁটা শব্দ চেনাও।
সেদিন দেখা হল যে তরুনটির সঙ্গে বা থার্ডলাইনের পাহাড়ের চূড়ায় ওঠার মত প্লাটফর্মের রাস্তার বাঁকে
ঠিক সকাল ন’টায় রোজ দাঁড়িয়ে থাকা তরুনটি
যার একুশের পর আর বয়স বাড়েনি
তারাও হেঁটে যাচ্ছে ওই লেখাটার ভেতর দিয়ে
কমলিনী, রাই, টুকটুকিরাও
জেলেবস্তির কমলি,হীরা ও মাঝিনপল্লীর মাখন, মেঘনাদ ওরাও
ঊনআশির বইমেলা থেকে লেখাটা দীর্ঘ হয়েছে। সুনীল, শক্তি, অমিতাভদের দীর্ঘ ছায়া ঠেলে গুঁতিয়ে তুমি এলে,
“পড়ন্ত সূর্যের রোদ্দুর বুঝি ভুলে গেল ঘড়ি ও কাঁটার ব্যবহার”
সন্ধ্যে নামার আগেই শালিধানের মরাই ডিঙিয়ে সিঁড়ি ভাঙার বদলে
নিমেষে মিলিয়ে গেলে কোথাও
না কোনও তরুণী বা যুবতীর ডাকও আটকে রাখতে পারলো না।
এখনও প্লাটফর্মজুড়ে আলো
রূপনারাণে ঢেউ
রাস্তার বাঁকে একুশের তরুণ
প্রপোজ,চকলেট,গোলাপ মিলেমিশে
ভ্লাদিমির ইলিচ উলিয়ানভ
তোমার গায়ে রাশিয়া থেকে আনা ফারের জ্যাকেট
লেখাটা শেষ হয়নি এখনও,
ভ্যালেন্টাইনে থমকে,
শেষ সরস্বতী পুজোও
ভোর ফুটছে
লেখাটা শেষ হবে না কখনও।