নৌকা
কৌশিক রায়
এবার পূজায় আমাকে একটা নৌকা দিও
ভারি কালো কাঠের, দেখলেই যেন সমীহ জাগে !
বুক গভীর জল উঠে আসলেই বাইবো ।
কথা বলবো বিড়বিড়, তার একপাশে আনমনে বসে ।
শব্দ সাজাবো পাগল ছন্দের, জল টেনে টেনে ।
হঠাৎই শরতের জোলো হাওয়া গায়ে চেপে বসে ।
ভাবি, আত্মহারা হলে যদি নৌকাডুবি হয় !
কিছুটা অপূর্ণতা রাখি…..
কোনো বিরাট মঞ্চের উপর দিয়ে বেয়ে যাই
বেমানান জলপথে বৈঠার নড়াচড়া, দিকভুল ।
বাবা,মা চড়ে বসেছে, চলে যাবে পেছনের অন্তরালে ।
সামনে, দুপাশে, উপরের দিকটায় হাজার হাজার মানুষ !
অনেক হাততালি, ফ্ল্যাশলাইট দোলাচ্ছে…..
কতশত সুবেশ মানুষের বাহবা রংচঙে সাজগোজে,
বিষফল কুড়ানোর মত কুড়িয়ে রাখি সেসব ।
সান্ধ্য উপস্থাপনায় অভিভূত সবাই মাতোয়ারা ।
বাবা মায়ের নৌকা সওয়ারী শেষে
মঞ্চ থেকে নৌকা নামানোর রাস্তা খুঁজি ।
স্মোকগানের ঘন সাদা ধোঁয়ায়
ঢেকে গেছে সব সিঁড়ি !
পাগলের মতো খুঁজি, পাইনা… মুখে হাসি ।
নৌকাটাকে টেনে রাখি প্রাণপণে বুকের কাছে ।
সেবার পূজায় বাবা দিয়েছিলো
একটা কালো কাঠের নৌকা….
এ কান্না চলছে অনেক দিন ধরে। বুকের কাছে রাখতে চাই । কালো নৌকা। ধন্যবাদ।