প্রবন্ধঃ পরিবর্তিত সমাজ এবং মানসে আজকের নারী – মৌমিতা রাবেয়া

পরিবর্তিত সমাজ এবং মানসে আজকের নারী
মৌমিতা রাবেয়া

সদ্য দেশ স্বাধীন হয়েছে, সারা দেশবাসীর চোখে অনেক স্বপ্ন। কোলকাতার লাগোয়া একটি গ্রাম-
সারা রাত প্রসব যন্ত্রণায় ছটফট করেছে, ধাই মা আসার আগেই বাচ্চাটা বেরিয়ে এলো, শেষ রাতে ধাই মা বাঁশের ধারালো কঞ্চি দিয়ে নাড়ী কেটে বাচ্চাটাকে মায়ের কোলে দিল। এক মাথা চুল, বেড়ার ফাঁক দিয়ে বছর তিনেক ও বছর চারেক এর দুটি মেয়ে দেখছে তাদের মা -কে আর সদ্য হওয়া বোনকে। সূর্যের প্রথম আলো এসে পড়েছে মায়ের মুখে।
পর পর তিনটে মেয়ে, এই তৃতীয় মেয়েটি হবার পর বাবা ঠাম্মা তাদের মা-কে তিন দিন খেতে দেয় নি, বলছে আগে মেয়েকে গলায় নুন দিয়ে মার তারপর খাবার পাবি; না, মা তার সন্তানকে মারতে পারেনি। ঘটনাটি ঘটেছিল আজ থেকে ৭০ বছর আগে।
সময়ের রিল ফার্স্ট ফরওয়ার্ড করে নিই।
গর্ভের কন্যা সন্তানকে খুন করতে না চাওয়ায় স্বামী স্ত্রীকে ত্যাগ করেন। বংশের প্রদীপ জ্বালাবার জন্য স্বামী আবার বিয়ে করেন । জনান্তিকে বলে রাখি স্বামী ছিলেন উচ্চ শিক্ষিত, একজন স্কুল শিক্ষক। আর তাঁর স্ত্রী এম. এ পাস।
স্ত্রী হাল ছাড়েন নি, সমাজের কাছে ডিভোর্সি তকমা নিয়ে স্রোতের বিপরীতে গিয়ে মেয়েকে বড় করেন, এখন মা একটি স্কুলে চাকরি করেন, আর মেয়ে কম্পিউটার নিয়ে পড়াশোনা করে। ঘটনাটি ঘটেছিল বছর কুড়ি আগে।
কাট
সময়টা দুই হাজার কুড়ি স্বাধীনতার তিয়াত্তর বছর পার –
এক মধ্যবিত্ত পরিবার, বিকেলবেলা –
গৃহকর্মে নিপুণা, সুশ্রী, সুগায়িকা কিন্তু গায়ের রং কালো, এম.এ পাস, পিএইচডির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে একটি মেয়ে এই নিয়ে বারো বার পাত্র পক্ষের সামনে বসে আছে মাথা নীচু করে। পাত্রপক্ষ বেজার মুখে মিষ্টি খাচ্ছে। ফিসফিস করে ছেলের মা বলছে আমার বাবুর সাথে কালো মেয়ের বিয়ে কিছুতেই দেব না। ওঠার সময় মেয়ের বাবাকে বলে গেল –
“ইস! কি কালো মেয়ে আপনার। ” মেয়েটির মা বাবা অপরাধীর মতো মাথা নীচু করে রইলেন একটি কথাও বলেন না। উচ্চমাধ্যমিক পাস ছেলে নিয়ে তারা হনহনিয়ে বেরিয়ে গেলেন।
সময়টা নব্বইয়ের দশক। মতামত তৈরীর আগেই মেয়েটিকে তার মা বাবা বিয়ের পিঁড়িতে বসিয়ে দিল। মেয়েটি দুইচোখে অনেক স্বপ্ন নিয়ে তার ‘স্বপ্ন কা সদাগর’ এর কাছে গেল। সেখানে বাইশ বছর কেমন যেন রবি ঠাকুরের কবিতার মতো রাঁধার পরে খাওয়া আবার খাওয়ার পরে রাঁধা এই চাকায় বাঁধা হয়ে গেল।
‘স্ত্রীর পত্র ‘ র মৃণাল যেমন ‘২৭ নং মাখন বড়াল’- এর গলি থেকে মুক্তি পেতে চেয়েছিল- মেয়েটিও আজ যেন সেই মুক্তির স্বাদ পেতে চায়। সব আছে তার – স্বামী, ছেলে -মেয়ে, সাজানো গোছানো সংসার তবু কোথাও মেয়েটি নিজেকে খুঁজে পায় না….
সময়টা দুই হাজার একুশ
এখন আমরা ফেসবুক হোয়াটসঅ্যাপ সোশ্যাল মিডিয়ার উপর দাঁড়িয়ে-
মেয়েটির বয়স ৪০। একটা কোম্পানির ম্যানেজার। ভালো মাইনে পায়। বিয়ে করে নি।একা থাকার সিধান্ত তার নিজের । নিজের মতো করে জীবনটা কাটাতে চায়। মেয়েটি কিন্তু নারীবাদী কিংবা পুরুষ বিদ্বেষী নিদেন পক্ষে লেসবিয়ানও নন।
সমস্যা অন্য জায়গায় – ঘরে বাইরে অফিসে লেকে -যেখানেই যায় সেখানেই তাকে একটা তুলা যন্ত্রে পরিমাপ করে। আহা রে! মেয়েটার কি কষ্ট, একটা গতি হল না, ঠারে ঠোরে একটাই জিজ্ঞাসা কোন খুঁতের জন্য সে এই বিয়ে নামক ইভেন্ট থেকে বাদ পড়ে গেল ?
কাট
পাঁচ বাড়ি বাসন মেজে মেয়েটি ছেলে মেয়েদের বড় করছে, স্কুলে ভর্তি করেছে। স্বামী রিক্সা চালায়, যা রোজগার করে অর্ধেকের বেশি বাংলা ঠেকে দেয়।রাতে আকন্ঠ দেশি গিলে মেয়েটিকে চোর পেটান পেটায়। মেয়েটি দাঁতে দাঁত চিপে থাকে, কোথায় যাবে? চারিদিকে হায়নার দল ঘুরে বেরাচ্ছে। মেয়েটাও বড় হচ্ছে —
সারা শরীরে মার এর দাগ, তবু মেয়েটির চোখ থেকে স্বপ্ন মুঝে যায় নি, তার একটাই স্বপ্ন, তার মতো তার সন্তানেরা আর মার খেয়ে বাঁচবে না। নেকাপড়া শিখে তারা ভদ্দরনোকেদের মতো মাথা উচু করে বাঁচবে।

রিল একটু গোটাই –

‘মহানগর ‘ ছবির নায়িকাকে মনে আছে ?
তার মতোই এই মেয়েটি অফিসে মাথা নীচু করে বসের সামনে দাঁড়িয়ে আছে।
কাল সারা রাত ছেলেটার জ্বর দুই চোখের পাতা এক করতে পারে নি, মেয়েটার পরীক্ষা চলছে, রান্না মাসি তিন দিন ধরে আসছে না, আজ সকালে আবার ঠিকে ঝিটাও আসে নি। সব শুদ্ধ মিলে আজ শেষ রক্ষা করা গেল না, তিন দিন লেট মার্ক, বসের রুমে কল –
” আপনারা মেয়েরা এতো আনপ্রফেশনাল কেন? মাসের শেষে সেলারি ড্র করবেন আর কাজটা ঠিক মতো করবেন না, ঠিক সময়ে অফিসে আসবেন না? না পারলে চাকরিটা ছেড়ে দিন। আপনাদের টাকা তো ঐ শাড়ি, গহনা আর পার্লারেই বেশিটা যায় … প্রতিদিন বাচ্চার শরীর খারাপ, কাজের লোক আসে নি.. এ আর শোনা যাচ্ছে না। মেয়েদের নিলেই এই এক সমস্যা ছুটি ছুটি আর ছুটি… একটু প্রফেশনাল হন। যান আজ একঘন্টা বেশি থেকে কাজ শেষ করে যাবেন “
মেয়েটি বসের ঘর থেকে বেরতে বেরতে ভাবে ছেলেটা বেরবার সময় মা মা করছিল। ওর বাবাও তো কাজে সারাক্ষণ ব্যস্ত। ফোন করলেই বলবে, “মা হয়েছো আর ছেলের দায়িত্ব নেবে ওপাড়ার টেপার মা।”
মেয়েটার কাল অঙ্ক পরীক্ষা। কি যে করি..
ভাবতে ভাবতেই মনে পড়ল মা কাল বলছিল আজ একবার ঘুরে যেতে, শরীর টা খুব একটা ভালো নেই, ডাক্তার দেখাতে হবে মনে হচ্ছে। এ মাসে হাত একেবারে ফাঁকা, ফ্ল্যাটের এই এম আই, ছেলেমেয়ের স্কুলে দুই মাস অন্তর মোটা টাকা দিতে হয়,এমাসে শ্বশুর মশাই এর ফেকো হল, শাশুড়ি মা-কে কার্ডিওলজিস্ট দেখানো- সব শুদ্ধ হাত ফাঁকা। সামনের মাসে মাইনা পেলেই মাকে ভালো নেফ্রোলজিস্টদেখাতে হবে। গেলেই তো এক গাদা টেস্ট। দুজনে মিলেও সংসার, ডাক্তার, ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা – সামলানো যাচ্ছে না। কারুর মন পাচ্ছে না, সবটা দিয়েও না। বার বার মনে হচ্ছে সন্তান এর প্রতি কর্তব্যে ফাঁক থেকে যাচ্ছে না তো , তাই তা পূরণ করতে দামি দামি খেলনা, পোশাক, খাবার দিচ্ছে, আর তা পেয়ে পেয়ে তাদের প্রত্যাশা আকাশচুম্বী হয়ে যাচ্ছে। বকাবকি করলেই সুইসাইড। কাল- ই তো পাশের ফ্ল্যাটের মাসিমার নাতনি গলায় ফাঁস লাগিয়ে… মা হয়ে বড় অসহায় লাগে মাঝে মাঝে। ঘরে – বাইরে দুই জায়গায়তেই মেয়েটিকে হিমসিম খেতে হচ্ছে..

একবিংশ শতক এক পরিবর্তিত সমাজ। নারী আজ আর অন্তঃপুরবাসিনী নন। সমাজের সর্বস্তরে, নারীরা ঘরে বাইরে সমান ভাবে সপ্রতিভ। আত্মমর্যাদার সাথে বাঁচার লড়াই করে চলেছে। এই লড়াই এক প্রজন্মের নয়, কয়েক প্রজন্ম ধরে।
স্বপ্ন দেখেছে মা, দিদিমা ঠাকুমারা তাদের মেয়েরা শিক্ষায় চেতনায় সচেতন একজন স্বাধীন নাগরিক হবে। কোনো সংরক্ষণে কিংবা কন্সিডারেশনে তাদের সন্তান বাঁচবে না। সমাজ দাগিয়ে দিলেও একবিংশ শতকের নারী নিজেদের দুর্বল মনে করবে না। তারা বাঁচবে নিজের শর্তে, অন্য কারুর শর্তে নয় ।
ঘরে বাইরে সমান ভাবে নারীর এই জয়যাত্রার পিছনে একটা সলতে পাকানোর একটা ইতিহাস আছে।
এককালে মাতৃতান্ত্রিক সমাজে নারীর প্রাধান্য ছিল। বৈদিকযুগে সমাজে নারীদের মর্যাদা ছিল। অপালা, গার্গী, লোপামুদ্রা বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণে সমাজে পুরুষের সমকক্ষতা লাভ করেন। নালন্দা, বিক্রমশিলা, তক্ষশিলা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নারী শিক্ষার গুরুত্ব দেওয়া হতো। মুঘল যুগে এসে নারীরা পর্দানশিন হয়ে পড়লেন। অন্দরমহলে আবদ্ধ হয়ে গেল তাদের জীবন।
অন্তঃপুরবাসিনী নারীর পাঠ মূলত ছিল ধর্মতত্ত্ব যা অন্দরমহলে সীমাবদ্ধ ছিল । ক্রমেই রান্নাঘর থেকে আঁতুড় ঘর এই দুই-এর মধ্যেই তাদের জীবন কেটে যেতে লাগলো। ঔপনিবেশিক শাসনব্যাবস্থার একটা ভালো দিক স্ত্রী শিক্ষা।
ভাবলে শিউরে উঠি ‘বেশি দিন নয় মাত্র দেড়শো বছর আগে ‘ সতীদাহ ‘ এর নামে জ্বলন্ত চিতায় মৃত স্বামীর সঙ্গে মেয়েদের পুড়িয়ে মারা হতো । যদি-ও আজো মেয়েদের নৃশংস ভাবে পুড়িয়ে মারে একটু অন্যভাবে পণের টাকা না দিলে বা ধর্ষণ করে প্রমাণ লোপাট করার জন্য…
এই একবিংশ শতকের নারী হয়ে আমার শতকোটি প্রণাম রামমোহন রায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, বেথুন সাহেব মহাশয়কে। যারা নিরলস প্রচেষ্টায় উনবিংশ শতকে সমাজের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে আঠাহাতি কাপড়ে জড়ানো, একাদশী নিরম্বু উপবাসে আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধা নারীদের গৈরীদান, সতীদাহ প্রথার অন্ধকূপ থেকে বের করে আলোর পথ দেখালেন। ১৮৪৯ খ্রীঃ বেথুন সাহেব প্রতিষ্ঠা করলেন প্রথম মেয়েদের জন্য বিদ্যালয়।
শুধু শিক্ষা নয় মেয়েদের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে গেড়ে বসা কুসংস্কারকেও সমূলে উৎখাত করতে, অর্থনৈতিক সামাজিক অবস্থানের উন্নতি ও আত্মশক্তিতে জাগিয়ে তুলতে এগিয়ে এলেন — রমাবাঈ সরস্বতী, স্বর্নকুমারী দেবী, ভগিনী নিবেদিতা, বেগম রোকেয়া সাখাওত , আ্যনি বেসন্ত, বাসন্তীদেবী, সরোজিনী নাইডু এর মতো শত শত বীরাঙ্গনা।
স্বাধীন ভারতে বিভিন্ন শিক্ষা কমিশন – ‘রাধাকৃষ্ণণ কমিশন’ , ‘মুদালিয়ার কমিশন’ , ‘জাতীয় শিক্ষানীতি’ সর্বত্র মেয়েদের শিক্ষা ও আত্মনির্ভরশীল হবার উপর বিশেষ জোর দেওয়ার কথা বলে।
বিংশ শতকে নারীরা স্বাধীন ভাবে নিজেদের মতামত তৈরী করতে শিখলো। স্বাধীনতা সংগ্রামে সক্রিয় অংশগ্রহণ, পরবর্তী সময়ে তেভাগা আন্দোলন, খাদ্য আন্দোলন, নকশাল আন্দোলনে মেয়েদের সক্রিয় ভূমিকা লক্ষ্য করা যায়। আজ সারা বিশ্বের রাজনীতিতে মেয়েরা স্বমহিমায় উজ্জ্বল। আজ মেয়েরা মহাকাশ পাড়ি দিয়েছে। বিশ্ব রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজনীতি , বিজ্ঞান সর্বত্র-ই মেয়েরা আজ সমান পারদর্শী।
কিন্তু প্রদীপের নীচেই থাকে অন্ধকার। তাই প্রতিদিন বহু মেয়ে ধর্ষিত হচ্ছে, পুড়িয়ে মারছে। সারা পৃথিবীতে ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স দিন দিন বেড়ে চলেছে, নারী প্রাচার ভারতে এক জ্বলন্ত সমস্যা, কন্যা ভ্রূণ হত্যা নির্মূল করা যায় নি। পণ প্রথা এই সমাজের এক দগদগে ঘা।

মঞ্চ
সারা দেশে পচাত্তরতম স্বাধীনতা উদযাপিত হচ্ছে —
স্পটলাইট
মেয়েটির দশ বছরের বিবাহিত জীবন। কোন সন্তান নেই তাদের, সমাজ সংসার তাকেই আঁড়চোখে দেখে । সবসময় আড়ষ্ট হয়ে থাকে মেয়েটি।
মেয়েটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যঙ্কের ম্যানেজার কাজের জায়গায় তার থেকে সাবর্ডিনেট স্টাফ এসে বলে যায় এ মেয়েদের কাজ নয়। আম আর আমসত্ত্ব কি কখন এক হয় ম্যাডাম?
মেয়েটি পিএইচডি শেষ করে গবেষণায় ঢুকেছে। তার সিনিয়র এর সাথে এক্সপেরিমেন্ট নিয়ে আলোচনা করতে করতে ইঙ্গিত স্পষ্ট আজ সন্ধ্যায় যদি তার সঙ্গে কোয়ালিটি টাইম কাটায় তবে প্রজেক্ট পাস হবে।
মেয়েটি পুলিসে সাব ইন্সপেক্টর একটি গ্যাং-রেপ এর ইনভেস্টিগেশনে গেছে। পিছন থেকে কে বলে উঠল একেবারে ঝাক্কাস মাল…
মেয়েটি প্রাইভেট নার্সিংহোম এর নার্স। প্রতিদিনই ডাক্তার তাকে ইশায় ডাকে —
মেয়েটি অভিনেত্রী, সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে বেশ্যা সম্বোধন করে গালিগালাজ করে —
মেয়েটি গৃহবধূ মাঝে মাঝেই ইচ্ছের বিরুদ্ধে তাকে …
একবিংশ শতক এক পরিবর্তিত ঝাঁ চকচকে সমাজ। বাইরে থেকে অনেক এগিয়ে গেছি আমরা, অনেক স্মার্ট আজকের সমাজ, কিন্তু এই সমাজ মানসে নারীরা কখনো মেয়েছেলে, কখনো মাল, আবার কখনো বা বেশ্যা মাগী। ইচ্ছা করলেই অসম্মান করা যায়। সব জায়গায় মেয়েরা এগিয়ে গেছে ঠিকই কিন্তু সমাজচিন্তনে বদলেছে কি ? মেয়েরা তো এখনো তাই অনেক জায়গায় মেয়েছেলে !
নারীদের নিয়ে সমাজে ভাবনা কতটা পরিবর্তিত হয়েছে এই হাই রাইজ সমাজে ? কেন আজো রাত করে বাড়ি ফেরা মেয়েদের জন্য নিরাপদ নয় ?
কেন নিরাপদ নয় —তার জবাব আছে কারুর কাছে ?
প্রতি মুহূর্তে মেয়েদের ভয়ে ভয়ে বাঁচতে হচ্ছে,
মা বাবা কাঁটা হয়ে রয়েছেন কখন কি হয়,
মেয়েদের বোঝানো হচ্ছে প্রতিবাদ করলেই শরীর ফালাফালা করে দেবে, শরীরে লোহার রড ঢুকিয়ে দেবে।
এখনো শিক্ষা, দক্ষতা , মেধা – মনন, যোগ্যতা দিয়ে নয় অনেক জায়গাতেই শরীরের মাপে মাপা হচ্ছে পরিবর্তিত সমাজের নারীদের।
বাইরে থেকে নয় ভিতর থেকে এক স্মার্ট মুক্তচিন্তন সমাজের প্রতীক্ষায় একবিংশ পরিবর্তিত শতকের সমাজের নারী।।

7 thoughts on “প্রবন্ধঃ পরিবর্তিত সমাজ এবং মানসে আজকের নারী – মৌমিতা রাবেয়া

  1. উফফ ……কি দারুণ লেখা পড়লাম ……অনেক অনেক শুভেচ্ছা রে……খুব ভালো হয়েছে প্রবন্ধ…..ভালো থাকিস❤❤❤❤

  2. ভীষণ ভালো লাগল লেখাটি, ‌‌ অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই আপনাকে…💐🙂।

  3. অভিজ্ঞতা জ্ঞান আর আন্তরিক হৃদয় দিয়ে এরকম মননশীল লেখা সচরাচর নজরে পড়ে না। লেখিকার জন্য থাকলো স্যালুট। সমাজটা আরও সচেতন হোক। মানুষ ‘ মানুষ ‘ হোক – এই কামনা করি। এই ধরনের গঠন মূলক লেখা ছড়িয়ে পড়ুক। পশুরা যেন সাবধান হতে শেখে। পশুরা যেন ভয় পেতে শেখে। বিভিন্ন অংশের বেপরোয়া হবার মদত দেয়া অভ্যাস বা চোখ বুঁজে মৌনী থাকার জঘন্য মানসিকতা বন্ধ করতেই হবে। লেখিকাকে শুধু ধন্যবাদ জানালে কম প্রশংসা করা হবে।
    মায়েরা দিদিরা আপনাদের অন্তত প্রাপ্য সম্মান যেন দিতে পারি, শ্রীশ্রী জগন্নাথ বলরাম সুভদ্রা এরকম ভাইবোনের আদর্শের অনুসরণ যেন করতে পারি।

  4. Khub sundar likhechhis. Proti ta meyer jibon ekta golpo. Kintu se kokhonoi tar golpo mukto konthe bolte pare na…bhalo thakis.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *