নক্ষত্র দহন
অনিরুদ্ধ সুব্রত
সবটা ভিডিও-গেমের মিশনের মতো
লঘু মস্তিষ্কের খুশির প্রবণতা নয়
তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিতে পারলে, ধরা ছোঁয়ার
বোকা বোকা উপন্যাসের পাহাড়,
স্বপ্নের সঙ্গে কল্পিত-মৈথুনে মেতে উঠতে পারো
সব থেকে পারফেক্ট লেন্সে রেটিনাকে নিয়ে —
হাজার মাইল, পাহাড় অরণ্যের ওপার
পৃথিবীর দিন-রাত্রি, কম্পাস, ঘড়ি
সেই অবাক দৃশ্যের পিছনে পারবে না দৌড়ে,
সূচি-ছিদ্র ? উঁহু তাও নয়— অথচ পড়ে থাকবে
সমস্ত গতির গণিত, নিশ্চিদ্র পথে বহুদূরে
সমুদ্রের মতো বিছানায়, লবনে জলে বালিতে ঝিনুকে,
ডুবে ডুবে ভেসে ওঠা ঢেউ-এ,
শেষ অবধি জানতে পারবে,পাথরের মতো শরীরকে ফেলে
পাড়ি দেওয়া যায় পক্ষীরাজে, সাত সাগর তের নদী
আসলেই খুব কাছে, অনায়াসে খুলে যায়
রাজপ্রাসাদের সমস্ত বন্ধ ফটক—
কাল যদি সত্যিই দ্যাখো, এখানে
ভিডিও-গেমের মতো সম্পর্ক-সঙ্গমের আপলোডিং
কেবলই ব্যহত গতিতে ধুঁকছে
যদি দ্যাখো মার খাচ্ছে প্লাটিনামের মতো হৃদয়,
তখন পয়সার পার্লারে পুনঃ প্রবেশের ইচ্ছে
রসাতলে যাবে, যখন শূন্য সহবাসে
একটি মাত্র নক্ষত্রের অগ্নি-চুম্বনের দহনে আছো।
সুন্দর। খুব ভালো লাগল।
খুব ভালো লাগলো। পরবর্তীতে অপেক্ষায় রইলাম।
কি সুন্দর লেখা! ভাল লাগলো
চমৎকার। অভিনন্দন।