অরাজনৈতিক সেতু অথবা সার্কাস
চিরঞ্জীব হালদার
যে সেতু প্রায়ই নিজেকে ভুলে যায়।
তার মগজে ভিড় করা তারাদের কাছে হাঁটু গেড়ে
প্রার্থনা করে সেই সব মহৎ মানুষের জন্য।
রাষ্ট্রনৈতিক ধ্যান-ধারণা এক অন্তর্লীন চোরাস্রোত।
তার সুলভ সঙ্গতকার ব্ল্যাক কফি আর ভিজে বিড়ির নাদান স্মোক রিং।
একজন যখন তুমুল নীল বর্ণ
অন্যজনা সূর্যমুখী ক্ষেত থেকে তুলে আনা নকশীকাঁথা।
সেই সব মহৎ মানুষেরা যাদের গোড়ালি
কয়েকশো কিলোমিটার হেঁটে আসার পর
শেষ চালে কিস্তিমাত করতে পারঙ্গম।
যার বন্ধুতালিকায় বিপরীত কালসাপের তন্বী প্রেমিকা।
ধরে নিন প্রতিরাতে বৃষ্টি মেলে দেয় নাভিগন্ধ।
সেতু ভুল করে ঢুকে পড়েবে ভবিতব্য সার্কাসের তাঁবুতে।
তখন
রিং মাস্টার বাঘের খাঁচায় আর স্মৃতি ফিরে পাওয়া
ক্ষুধার্ত পশুদের মধ্যে নীল জলাধারে নামার অনকন্ট্রোল তোড়জোড়।
তখন কী আর্কিমিডিসের বাড়ি খুঁজতে খুঁজতে সেতুটা আবার ঘুমিয়ে পড়বে।