কবিতা চর্যা
অনিরুদ্ধ সুব্রত
শবর পা কবিতা লিখেছিলেন
অরণ্য পরিবেষ্টিত কুটিরের বারান্দায় বসে
নৈরাত্মা বালিকাকে হৃদয়ে ধারণ করে,
সেই মুহূর্তে কাছে এসে মুখ তুলে
এক হরিণ শিশু, কবির লিখন পাতায় নজর
বৃক্ষ ছায়ার নিচে নিকোনো উঠোনে,
শবর পা উচ্চারণ করেন— ছাড়্
অনুচ্চারিত থাকে, মায়া মোহ স্বাদ দ্বন্দ্বকার
হরিণ শিশু পথ খুঁজে কাপাস বনে ধায়,
কবিতা লেখা সমাপ্ত হয় না, কবি উদাস
রাত দূর নদী পেরিয়ে পৌঁছায় ক্ষুদ্র জনপদে
শবর পা শূন্য-নারীর সঙ্গ সুখে যায়
কবিতার খিদে নিয়ে নগরের বাইরে,
একদিন আকাশে ফুল ফোটা জ্যোৎস্না পথে
শবর ফেরে জীবনের সকল ভার ফেলে
ভবমত্ত কবি তারপর পুনরায় বসে লিখতে
সে লেখা মৃত্যুর ধ্যানের মতো
রহস্যময় এক উপমার জন্য, অনন্ত ধ্যানে,
নগরের ধর্ম সভায় ঘোষণা হয় শেষে
শবরের নির্বাণে রয়েছে রহস্য পংক্তি ।
খুব সুন্দর কবিতা।
অসাধারণ লাগলো ।
খুব সুন্দর।
একটা নতুন ভাবনা পাইলাম