হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়ার বাঁশি
দয়াময় পোদ্দার
তুমি, সকাল নটায় ইস্কুলে পড়াতে যাও,
সাতটার মধ্যে ঘুম থেকে উঠে তৈরি হতে হয়।
আলো আর আঁধারের মাঝখানে একটা আকাশ
লালশালু মোড়া সরু নদীটা ভাসতে থাকে,
সূর্যের প্রথম স্পর্শ! তুমি জানতে পারনা,
হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়া বাঁশিতে ঠোঁট স্পর্শ করলেই-
নদী কেঁপে কেঁপে ছড়িয়ে যায় তোমার আবহমন্ডলে।
ছাত্র আর ছাত্রীদের সমস্বর কলরব যেন উদাস মঙ্গলধুন-
যেন একটি চড়ুই পাখি তোমার জানালায় এসে বসুক
মুখরতা ছড়িয়ে দিক সকালের ঘুমে!
বারোটায় ইস্কুল ছুটি হয়ে যায়। তারপরে ফিরে আস ঘরে,
এবং দেড়টায় আঁকার ইস্কুলে যাও- আঁকা শেখাতে।
বাঁশির লহর ওঠানামা- একজীবন নৌকো হয়ে অথৈ ;
চিবুকের ঘাম ওড়নায় মুছে- তোমার গৃহপ্রবেশ, নবীন
শিক্ষার্থীর রঙ-তুলিতে- পায়ে হাঁটা পথ, দূরে পাখির বাসা
পাহাড় চূড়ার প্রকাশ, ঝরণা ।মগ্নতাকে চমকে
বাঁশি ডাকছে তোমাকে, তুমি তাকে শুনতে পেয়েছো?