ন্যাড়াপোড়ার গল্প
তাপস শেঠ
যখন ‘এই তো আমার সোনামনা’ ‘আয় রে আয় চাঁদ আমার সোনার কপালে টিপ দিয়ে যা’ বলতে ব্যস্ত এক বৃক্ষ,
সেই সময় গভীর ঘোরের মধ্যে চিনেবাদামের খোসা ছাড়াতে ছাড়াতে অস্তিত্ব শুদ্ধু উপড়ে চলে যাচ্ছে এক স্বয়ংসিদ্ধা,
বহুদিন হলো নীল অপরাজিতার মতো অসংখ্য আকর্ষ বের করে জড়িয়ে রেখেছে সেই বৃক্ষ তাঁর পেটে-না-ধরা-সুখকে,
এটা একটা ধনুর্ভাঙা পণের গল্প; ঘরে কেউ নেই, দরজায় কেউ দাঁড়িয়ে নেই, লম্ফ জ্বেলে একা এগিয়ে চলেছে লক্ষ্য…
এই পৃথিবীতে সোনার রঙের সূর্য পাটে গেলে নিঃসঙ্গ প্রান্তরে ন্যাড়া গাছের মাথায় স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে সাদা চাঁদ,
মহাশূন্যের ভেতর থেকে পৃথিবী আবার নতুন হয়ে জেগে ওঠে অথচ আকাশের রঙ এবং জলের রঙ সেই একই কালো,
আসলে এটা ন্যাড়াপোড়ার গল্প, চাঁদ উঠেছে ফুল ফুটেছে সাথে ধূ ধূ শূন্যে ধীরগতিতে পুড়ে চলেছে এক তাপসবৃক্ষ,
শেষে যখন কোমর পর্যন্ত পুড়ে যাবে, উবু হয়ে শুয়ে থাকা তাঁকে মনে-দুঃখ-পুষে-রাখা মানুষের মতো দেখতে লাগবে…