বিরহ, পাখিটা
অনিমেষ সিংহ
আমার জন্যে বসে থাকবে?
রাত যদি ভোর হয়ে আসে,
ভোর যদি বিকেল হয়ে যায়!
কোনো মানে হয় না, অপেক্ষার!
তুমি বরং বুকের ওপর চাদর টেনে, ঘুমিয়ে পড়ো।
সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে, পূবদিক করে দাঁড়াও তোমার ছাদে
দুহাত ছড়িয়ে ডাকো, সুখ-পাখিটিকে।
টবের গাছগুলোতে জল দিও, প্রেমের অভাবে তারা মরে যাবে নয়ত!
বরের জন্যে রুটিতে সর মাখানো শেষ করে, জিজ্ঞেস করো তাকে,
-“কালো কফি দেব?
দক্ষিণভারত! আপান্না! না-কি দার্জিলিংয়ের চা?”
মেঘ ছুঁয়ে যায় বাংলাভাষার, মেঘ ছুঁয়ে যায় গা…!
অপেক্ষা করো না। দু’চোখের কালি যদি, সেদিনের মতো,
ঝড় ডেকে আনে! মেঘ হয়ে যায়, কালবোশেখী!
তার চেয়ে, ঘুমিয়ে পড়ো, বরের সাথে।
আমি ভেবে, আদর করো তাকে। ভুল করো না।
আমার নামটি ধরে, ডেকো না, ভুল করে।
কেউ বসে নেই, অপেক্ষাতে।
আমিওতো সকাল থেকেই হারিয়ে যাচ্ছি,
তোমার দুঃখের ঢেউ, কষ্টের উজান ভেঙে চলেছি।
বিরহ এক পাখি, ঝড়ে যার ডানা ভেঙে গেছে,
যার পালকে পালকে যন্ত্রণা –।
বসে থেকো না, আমার জন্যে।
হয়ত আমি আর কক্ষণো ফিরব না-
‘মেঘ ছুঁয়ে যায় বাংলা ভাষার,মেঘ ছুঁয়ে যায় গা…’❤️❤️
সুন্দরের আরেক নাম কবিতা হতে পারতো। ভালো লাগলো।
খুব ভালো একটা কবিতা।ড়
খুব ভালো লাগলো।