সিল্করুটের সিল্কি স্মৃতি
সৌমিত্র ঘোষ
জীবনটা একঘেয়েমির শেষ প্রান্তে পৌঁছেছিল, তাই বোনের কথা উপেক্ষা করা হলো না। অষ্টমীতে সিল্করুটে যাওয়ার পরিকল্পনা তারপর টুর এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ অতঃপর রওনা দেয়া। ছেলের ইচ্ছে নেই, বড় হয়েছে তাই ওর টিকিট বুক হওয়া সত্ত্বেও টাকা জলাঞ্জলী দিয়ে যেতে হয়েছিল সেবার ।
নিউ জলপাইগুড়িতে নেমে নির্দিষ্ট গাড়িতে উঠে বসলাম। গাড়ি ছুটে চললো সেবক ছাড়িয়ে, সবুজ পাহাড় পেরিয়ে প্রায় চার ঘন্টা পর ঋষিখোলা। খরস্রোতা ঋষি বয়ে চলেছে, চারিদিকে সবুজ পাহাড় সে এক অপরূপ সৌন্দর্য! ভেবেছিলাম নদীর নিকটবর্তী কোনো হোম স্টে নির্দিষ্ট আছে, কিন্তু জানলাম বেশ কিছুটা উঁচুতে আমাদের থাকার ব্যাবস্থা, এতক্ষন জার্নির পর আমরা সবাই টুর এ্যরেঞ্জারের ষষ্টি পূজো করছিলাম। কাছে পেলে যে কি হতো তা সহজেই অনুমেয়। যাইহোক পোর্টারের কাছে লাগেজ দিয়ে হাতের ছোটোখাটো ব্যাগ পত্র নিয়ে ক্লান্ত শরীরেই ট্রেকিং করতে বাধ্য হলাম, প্রায় দশ বারো তলা হবে !
সবাই কোনোভাবে শরীরটা ছুঁড়ে দিলাম বিছানায়। ক্লান্ত শরীরে এক কাপ চায়ের পর সম্বিত ফিরলো, সত্যি আমরা কি স্বপ্নের কোনো মায়াজালে বন্দী! কুল কুল করে ঋষির ছুটে যাওয়া যেন দীর্ঘ বিরহ যন্ত্রনার অসহ্য বেদনায় ঋষি পত্নির সন্ধানে এগিয়ে যাওয়া। সমুখে বিরাট পাহাড় ঋষি নদীকে আগলে রেখেছে। আমরা পাহাড়ের গায়ের ছোট্ট কটেজ থেকে দুর থেকে সমীক্ষনে মত্ত। এক কথায় অসাধারণ প্রাকৃতিক শৃঙ্গারে ঋষিখোলা সব ক্লান্তি দুর করে দিল। বৃষ্টি এলো, ঝিঁঝির ডাক আর ঋষির বয়ে যাওয়ার শব্দের মূর্ছনায় রাত, রাতেই পরবর্তী প্রস্তুতি সেরে চিকেন রুটি খেয়ে দিনের শেষে ঘুমের দেশে। সকাল বেলায় গন্তব্য আরিতার।
পরের দিন সকালে গাড়িতে চেপে পাহাড় ঘেরা ঋষিখোলাকে বিদায় জানিয়ে আরিতারের উদ্দেশ্যে রওনা। সবুজের সমারোহে পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে আমাদের গাড়ি ছুটে চলেছে। অসাধারণ প্রাকৃতিক শোভার মুগ্ধতা মেখে মনে হবে যদি এখানেই থেমে যাই! বৈচিত্র্যময় পাহাড়ি শোভা দেখতে দেখতে কখন যেন পৌঁছে গেলাম হোম স্টে। বলে রাখা দরকার আমাদের নির্দিষ্ট হোম স্টে অন্যরা দখল করেছে তাই আমাদের অন্যত্র থাকতে হবে। আমাদের গাড়ি চালকের এই কথায় আমরা রিতিমতো ক্ষিপ্ত। তর্ক বিতর্কের আবহাওয়ায় মনটা মুহূর্তে তিক্ততায় ভরে গেল। আকাশ, যার গাড়ি সেই চালক আমাদের শাসিয়ে গেল সে আর আসবে না । অনেক অনুনয় করেও কাজ হলো না সে বিদায় নিল। অগত্যা রুমে গিয়ে চমক।
হোটেল ড্রাগন রেসিডেনসিয়াল, স্নিগ্ধ আতিথেয়তায় আমাদের বরন করে নিলেন হোটেলের মালকিনরা। মা বাবা মেয়েরা একসাথেই হোম স্টে চালান। অতীব সুন্দরীরা অভ্যর্থনা করে ঘরে পৌঁছে দিলেন। ঘরের বারান্দা থেকে সবুজে সুদৃশ্য পাহাড় আর নিচে ছোট্ট একটি গ্রাম। অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। মনে হতেই পারে কয়েকটি দিন কাটিয়ে যাই। ভাত সবজি ডিম সহযোগে লাঞ্চ সেরে হাঁটতে বেরোলাম, নৈসর্গিক প্রকৃতি থেকে অফুরন্ত অক্সিজেন নিতে নিতে হ্যালিপ্যাড হয়ে বুদ্ধ মন্দির দেখে আমরা একটু অন্যদিকে হাঁটতে লাগলাম, মেয়েরা একটি দোকানে ব্যাস্ত হয়ে পড়লো। রঙলি যাওয়ার রাস্তায় নামতে লাগলাম, এক পাশে মাথা তুলে দাঁড়ানো সবুজ পাহাড় আর এক পাশে পাহাড়ের ঢাল নেমে গেছে আর এক কোনো গ্রামে। অনেক হোম স্টে পর পর থাকলেও এতো ভ্রমন রসিক বাঙালিদের কাছে তার নিতান্তই অল্প। হোটেল ড্রাগনের ফেরার পথে একটি রোমশ কুকুর পথ দেখিয়ে নিয়ে এলো। তখনো মেয়েদের কেনা কাটার ব্যাস্ততা চলছে। ঘরে ফিরে হোটেলের সুন্দরীদের যত্নে রাতের খাবারের পাঠ চুকিয়ে পরবর্তী দিনের জুলুক যাওয়ার প্রস্তুতি শেষ করে নিদ্রা দেবীর কোলে আশ্রয় নিলাম।
এই যাত্রার চতুর্থ দিন, আদৌ কি গাড়ি আসবে! যথেষ্ট দুঃশ্চিন্তায় ছিলাম। আমরা উদ্বিগ্ন এখানে সব পর্যটকদের সঙ্গেই ওখানকার গাড়ি ড্রাইভার একই রকম ব্যাপার করছে। ৯৯.৯৯ শতাংশ বাঙালি পর্যটক, যদি সবাই মনে করেন আমরা সিকিম যাবোনা তাহলে ওরা না খেয়ে মরবে। কিন্তু সিকিমের সাধারণ মানুষ কিন্তু পর্যটকদের সঙ্গে খুব ভালো ব্যাবহার করছেন।যাইহোক, আমরা পুরি সবজি সহযোগে ব্রেকফাস্ট সেরে অপেক্ষায় ঘোরাঘুরি করার পর গাড়িওয়ালা আকাশ এসে বললো চলুন।
গাড়ির চালক আমাদের একটা নিম্নমানের ঘর দেখিয়ে বললো এটাই আপনাদের থাকার জায়গা। আমাদের বিশেষ করে মহিলা ব্রিগেডের না পসন্দ। চা খেয়ে ঘরে ঢুকে আড্ডা। ঠান্ডার মাত্রা ৫ ডিগ্রি, রাতে চিকেন রুটি খেয়ে ঘুম। সকালে নাথাং ভ্যালি বাবা মন্দির কুপুপ লেক ঘুরে পদমাচেন থাকার কথা তাই এবার ঘুমোনোর পালা।
এর পরদিন পাহাড়, মেঘ, রোদ আর অযত্নে ফুটে ওঠা অসংখ্য ফুল আমাদের নাথাং ভ্যালির দিকে নিয়ে চললো। পাহাড়ের প্রতিটি বাঁকেই যেন আলাদা রূপের বৈচিত্র্য। মনে হয় হেঁটে যেতে পারলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সবটুকু শুষে নিতে পারতাম। যদি মেঘের ভেলায় ভেসে এ পাহাড় থেকে আরেক পাহাড় যেতে পারতাম!
জিগজাগ সিল্করুট দেখার আশায় ভিউ পয়েন্টে দাঁড়ালাম, মেঘে ঢাকা সিল্করুট তখনও ঘুমোচ্ছে। দর্শনার্থীদের ভিড়, অগত্যা বিফল মনোরথ হয়ে ফেরার সময় দেখা যাবে আশা নিয়ে হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় গরম কফিতে চুমুক দিয়ে গাড়িতে উঠে পড়লাম। মেঘের মধ্যে দিয়ে নাথাং। আমি স্বর্গ দেখিনি, নাথাং ভ্যালি স্বর্গের চেয়ে কোনো অংশেই কম নয়। চারিদিকে পাহাড় ঘেরা উপত্যকায় সাজানো গ্রাম। এই উপত্যকায় রাত কাটানোর ইচ্ছাটা রয়ে গেল। কিন্তু রাতে মাইনাস টেম্পারেচারে শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ৮০ শতাংশ। নিকটে কোনো চিকিৎসার ব্যাবস্থা না থাকায় প্রাণহানি পর্যন্ত হতে পারে। ছিয়াত্তর বছরের এক ভদ্রলোকের সঙ্গে আলাপ হলো তিনি তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে নাথাংভ্যালিতে রাত কাটিয়ে ফিরছেন। তাঁদের কোনো অসুবিধা হয়নি, তাঁরা বেশ উপভোগ করেছেন। যাইহোক পরে এখানেই এসে রাতকাটানোর ইচ্ছাকে সঙ্গে নিয়ে বাবা মন্দিরের উদ্দেশ্যে যাত্রা। যত ওপরে উঠছি গাছ ক্রমশঃ কমছে। কিন্তু সৌন্দর্যের ঘাটতি নেই। প্রতিটি বাঁকের অপার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হতে হতে বাবা মন্দির পৌঁছলাম।
১৪৫০০ ফুট উঁচুতে। মেজর “বাবা” হরভজন সিং ( ছিলেন ভারতের সেনা মেজর ৩রা আগস্ট ১৯৪১ থেকে ৪ঠা অক্টোবর ১৯৬৮) যিনি ১৯ ৯৮ সালে ভারতের পূর্ব সিকিমের নাথুলার কাছে মারা গিয়েছিলেন। তিনি ভারতীয় সেনাদের দ্বারা “নাথুলার বীর” হিসাবে শ্রদ্ধা এবং সেনাবাহিনী তার সম্মানে একটি মন্দিরও তৈরি করেছে ওখানে । ৪৮টি সিঁড়ি ভেঙে মন্দির। ওপরে উঠতে শ্বাসকষ্ট এড়াতে থেমে থেমে ওঠা ভালো। বাবা হরভজন সিং এর ব্যাবহৃত পোষাক ও অন্যান্য জিনিসপত্র রক্ষিত আছে। তাঁর ছবিতে স্যালুট জানিয়ে ওপর থেকে ছবি তুলে কুপুপ লেকের দিকে গাড়ি ছুটলো।
কুপুপ এ্যলিফেন্টা লেক হাতির মাথার মতো সদৃশ্য বলে এ্যলিফেন্টা। আমার সেরকম না মনে হলেও অসাধারণ প্রাকৃতিক দৃশ্য কিছুক্ষণ মুগ্ধতার আবেশে আচ্ছন্ন করে রাখে। চিন ভারতের বর্ডার দেখা যাবে, আর দুরে বরফের কিছু পিক মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে। এই প্রাকৃতিক দৃশ্য বৈচিত্র্যময় পাহাড়ি অনন্য শোভা। কুপুপ লেকটি প্রায় ১৫০০০ ফুট উঁচুতে। নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত কঠিন বরফের আস্তরণে সজ্জিত থাকে এই বিস্তির্ণ অঞ্চল। আমাদের দুর্ভাগ্য সেই রূপ থেকে আমরা বঞ্চিত। তবে এই সময় নানা ফুলের সৌন্দর্যে পাহাড় স্বর্গের সঙ্গে তুলনীয়।
এবার পদমাচেনের লক্ষ্যে নামার পালা। মাঝে সিল্করুট ভিউ পয়েন্টে আবার থামলাম, মেঘের খেলা চলছেই। ঠিক হতাশা নিয়ে গাড়িতে উঠতে যাবো সেই সময় তড়িঘড়ি পৌঁছে দেখি মেঘ সরে সিল্করুট ক্রমশঃ দৃশ্যমান। মূহূর্তের জন্য কয়েকটি স্ন্যাপ নেয়ার পর আবার মেঘের আড়ালে অদৃশ্য হলো । পদমাচেনে মনের মতো হোম স্টে পেয়ে সবাই খুশি তবে বোন ভগ্নিপতি পাশের হোম স্টে তে জায়গা পেল। ডিম আলুভাজা সবজি আর জলপাইয়ের আচার দিয়ে লাঞ্চ সেরে কাছাকাছি দেখার জন্য হাঁটতে বেরোলাম। অতি শান্ত পরিবেশ, তুলনামূলক ঠান্ডা অনেক কম, পাইনের জঙ্গল বাম পাশ ডান পাশে, যেন ঋজু মেরুদণ্ডে পাহারাদার সৈনিক। মসৃন রাস্তায় মেঘের মধ্যে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছি, দুর থেকে আসা ঝর্ণার শব্দ এ যেন আরেকটি নতুন অনুভূতি। দুই হাত দুরেই সব অদৃশ্য, সত্যজিৎ রায়ের কাঞ্চনজঙ্ঘা সিনেমার দৃশ্যগুলো মনে করিয়ে দেয়। যারা কয়েকদিন মনোরম পরিবেশে রিচার্জ হতে চান, এখানে নিরিবিলিতে অবশ্যই দুদিন কাটিয়ে যান। হোম স্টেতে পকোড়া চা আর আড্ডা তারপর সিলারি গাঁও যাওয়ার প্রস্তুতি সেরে ডিনার সেরে ঘুম।
সিল্করুটের ষষ্ঠ দিনে সকালবেলায় স্নান সেরে পুরি আলুর তরকারি চা খেয়ে সিলারী গাঁয়ের পথে ছুটছি। পথেই পড়লো দারুন ঝর্না। এই ঝর্ণার মৃদু সঙ্গীত শোনা যেত পদামচেন থেকে। বেশ সুন্দর পরিবেশ। ফটো সেশন শেষে ঝর্ণার রূপ মেখে আবার গাড়ি ছুটলো, পাহাড় ঘেরা গনেশ মন্দিরে থামলাম। বেশ শান্ত ও মনোরম প্রাকৃতিক শোভা ভালো লাগবে, গনেশ মন্দিরের ভিতরে নানা দেবদেবীর শিল্পকলা মুগ্ধ করবে। ধার্মিকদের মানসিক শান্তি যোগাবে।
এবার গাড়ি একেবারে সিলারি গাঁও। অন্ততঃ তিন কিঃমিঃ পাহাড়ি পথ আপনাকে নাড়াচাড়া করে মন্ড বানিয়ে দেবে। কিন্তু পথটা হেঁটে গেলে বেশ ভালো লাগবে। পাহাড়ি গ্রাম, এ আর এক রকম সৌন্দর্য! পাশাপাশি ঘর, প্রত্যেকেই টুরিস্টদের জন্য সুদৃশ্য ঘর করে রেখেছেন। এখানেও হোমস্টে। আবহাওয়া ভালো থাকলে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার উচ্ছাসে উচ্ছসিত হতে পারেন। সেই সৌভাগ্যবান আমরা ছিলাম না। পাহাড়ি পথে জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে আর এক পাহাড় টপকে ইচ্ছে গাঁও এক অসাধারণ অ্যাডভেঞ্চার। পথ চলতে চলতে সৃষ্টি হওয়া সরু পথ, ছমছমে জঙ্গল আর এক পাশে গভীর খাদ, অরন্যের ঘ্রানের মাদকতায় হাঁটতে হাঁটতে পৌঁছে যাবেন ইচ্ছে গাঁও। প্রায় ৪৫ মিনিট হাঁটা, আবার ফিরতে হবে সেই তাড়ায় পা চালিয়ে হোম স্টে।
ওখানকার হোমস্টের মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট ঘরে আমরা ছিলাম। ওপরের দিকে থাকলে সিলারি গাঁওয়ের প্রেমে পড়ে যাবেন নিশ্চিত। হারিকেন টুরে আমরা সবাই ক্লান্ত । এখানে অন্ততঃ দুদিন থাকলে হাঁটা পথে এই পাহাড়ি গ্রামের সৌন্দর্য আহরণ করতে পারতাম। যাই হোক আবার চমক আমাদের ড্রাইভার না বলেই চম্পট। অন্য গাড়ির ড্রাইভার ফোন করে বললেন আপনারা তৈরি থাকুন আমি যাচ্ছি। পরের দিন নিচে নামার পালা।
উপসংহার কলকাতার যে টুর এ্যরেঞ্জারের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করে গেছিলাম তার ওপর আমরা যথেষ্ট বিরক্ত। কলকাতায় বসে কাটমানি খেলো আসলে গাড়ির ড্রাইভার সব ব্যাবস্থা করে। কাট মানি নেয়া ছাড়া তার কোনো দায়িত্ব নেই। গৌরব নামের কোনো টুর এ্যরেঞ্জারের সঙ্গে যোগাযোগ হলে ভেবেচিন্তে যাবেন। পারলে নামকরা কোনও টুরিস্ট কোম্পানির সঙ্গে ভ্রমন করুন।
অপূর্ব। লেখায় আর ছবিতে ক্লান্তি কেটে গেল। মনে হলো ঋষিখোলায় পৌঁছে গেছি। ধন্যবাদ দাদা। সুন্দর সকাল উপহার দেবার জন্য।
অনেক শুভেচ্ছা । মন্দিরা একটা প্লাটফর্মে সবাইকে এক করেছে। লেখার ইচ্ছেটা বাড়িয়ে দিয়েছে।
লিখুন। অনেক অভিনন্দন।
অপূর্ব লাগলো আপনার বর্ননা। ছবিগুলো তো খুব সুন্দর। পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল যেন সব নিজেই দেখছি।
ইচ্ছেগাঁও তে গিয়ে আমারও মনে হয়েছিল দুদিন ওখানে থেকে পায়ে হেঁটে সব উপভোগ করি।
সত্যি দারুন জায়গা। একটু সময় নিয়ে যেতে হবে।
দারুণ,আমরাও মানসচক্ষে একটু ভ্রমণ করে আসলাম…💐🙂❤️