আগস্টের ১১ তারিখ। সকলের মতো পার্থ বাবুর সাথেও অন লাইন অবেক্ষণের লেখার জন্য যোগাযোগ করে অবেক্ষণের সম্পাদক মন্দিরা। তারপর থেকে মাত্র এক মাসের মধ্যে অবেক্ষণ তাঁর ভালবাসার পত্রিকা হয়ে গিয়েছিল। হাসপাতালের বিছানায় শুয়েও ধারাবাহিকের শেষ ভাগের লেখাটি তিনি পাঠিয়েছেন। তিনি যে কী অসাধারণ মনোবল ও ইতিবাচক মানসিকতার মানুষ ছিলেন তা বুঝতে অসুবিধা হয় না। মেসেঞ্জারে ওঁর স্বাস্থ্যের কথা জানতে চাইলে অবলীলায় তিনি বলেছেন– আমি তো ঠিক হয়ে যাবই। করোনার ওষুধে অবশ্য সুগারটা বেড়ে গেছে। ডাক্তারবাবু বলেছেন- চিন্তার কিছু নেই।বাড়ি ফিরে আর ইনসুলিন নিতে হবে না। আমার দুঃচিন্তা হচ্ছে আমার স্ত্রীকে নিয়ে। তিনিও সুগারের পেসেন্ট।
পার্থ বাবুকে সমস্ত দুশ্চিন্তার থেকে মুক্ত করে ওঁর স্ত্রী বাড়ি ফিরে গেলেও ওঁর আর ফেরা হল না। বাংলা মা হারাল তাঁর একনিষ্ঠ ভক্তকে। সাহিত্যের পাঠক হারাল একজন সাহিত্যিককে। পরিবার পরিজন হারাল তাদের স্বজনকে। অবেক্ষণ পরিবার হারাল একজন ভাল বন্ধুকে যিনি জীবনের শেষ মূহুর্তেও অবেক্ষণের জন্যই লিখেছেন। তিনি সেই অমৃতলোকে গিয়েছেন। যেখানে রোগ ,শোক, জরা নেই। কেবলই আনন্দ স্রোত বইছে।
ভাল থাকুন পার্থবাবু। আনন্দে থাকুন।
আপনাদের লেখার মধ্যে উনি বেঁচে থাকবেন।
এই লেখা পাঠককে বারবার ওনার কথা মনে করিয়ে দেবে।
এই শোক ফুরাবার নয়। তিনি যেখানেই থাকুন ভালো থাকুন । সশ্রদ্ধ প্রণাম জানাই কবিকে ।
করোনার আতঙ্ক থেকে অনেক দূরে, সত্যিই তিনি অমৃত লোকে চলে গেছেন, যেখানে কোন দুঃখ নেই, শোক নেই আছে শুধু দিব্য আনন্দ।
শ্রদ্ধা জানাই।