অবেক্ষণ প্রসঙ্গে
রাধাকৃষ্ণ গোস্বামী (রাধু) (প্রতিষ্ঠাতা, সম্পাদক)
অবেক্ষণপত্রিকা ডট কম বাংলা সাহিত্য জগতে একটি অনুপ্রেরণা মূলক সাহসী প্রয়াস নিয়ে এগিয়ে চলেছে। এক সময় অবেক্ষণ সাহিত্য পত্রিকা বাংলার লিটল ম্যাগাজিনে ভিড়েও কলকাতার কলেজ স্ট্রিটের স্টুডেন্টস হলের নীচের স্থায়ী লিটল ম্যাগাজিন প্রদর্শনীতে দেখা যেত। এই পত্রিকায় লিখতেন যাঁরা তাঁরা অনেকেই প্রথিতযশা। নবীনরা শুধুমাত্র লেখার গুণে অবেক্ষণ পত্রিকায় নিজেদের স্থান করে নিয়েছিলেন। তাঁরাও আজ অনেকেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে যথেষ্ট প্রতিষ্ঠিত। অবেক্ষণকে এক সময় সহযোগিতা করতেন প্রয়াত দেবকুমার বসু, মির্জা মহম রুশোয়ার ‘উমরাও জান অদা’র সরাসরি ঊর্দু থেকে অনুবাদক সুনীলকুমার বসু, বিদ্যুৎ কর্মীদের সহমর্মী উমাশংকর রায়, অসাধারণ প্রতিভার কবি অসময়ে প্রয়াত তুষার রায়, বাংলা সাহিত্য যাঁদের কোনো দিন ভুলবে না সেই কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়, সুভাষ মুখোপাধ্যায়। এছাড়াও লিখতেন প্রবাল কুমার বসু, কালীকিঙ্কর সেনগুপ্ত, অপূর্ব মুখোপাধ্যায়, অপূর্ব সাহা, রবীন সুর, ক্ষিতীশ দেব সিকদার, গৌতম বাগচী, শ্যামল পুরকায়স্থ, ধীরা বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়ন্ত দত্ত, ওয়াজেদ আলী, সুদর্শন চৌধুরী, সমীকরণ মজুমদার, বীরেন শাসমল, অর্ঘ্য দাশ, ডঃ শান্তিরঞ্জন ভট্টাচার্য, পিন্টু রাহা, অরিত্রী সামন্ত, অভীক সাধু, সৌরভ চক্রবর্তী, শংখ ভট্টাচার্য, মন্ত্র ভট্টাচার্য, অমিতাভ বিট, হৃষীকেশ বিট, দীপ্তভানু দত্ত, সীজার বাগচী, সীমা মিত্র (ব্যারাকপুর), বিজনবিহারী গোস্বামী, অনির্বাণ দত্ত, ত্রৈলোক্য কামাল, শুভ, ঋষীন্দ্র ঘোষ, ঋতেশ চক্রবর্তী, স্বপন চট্টোপাধ্যায়, রঞ্জন সরকার, অরিন্দম দাশগুপ্ত, অভীক মজুমদার, দেবারতি গুপ্ত, কামাল চৌধুরী, বিশ্বজিৎ দাস, অনিন্দ্য গোস্বামী, হিন্দোল গোস্বামী, ভূমিকা গোস্বামী, গোবিন্দ ভট্টাচার্য, শত বৎসর অতিক্রান্ত পূর্ণেন্দু প্রসাদ ভট্টাচার্য। এঁদের মধ্যে অনেকেই আবার অবেক্ষণ অন লাইনে লিখছেন তাঁদের সকলকে স্বাগত।
এক সময় কবি যতীন্দ্র প্রসাদ ভট্টাচার্য প্রয়াণের আগে অবেক্ষণ পত্রিকার জন্য কবিতা লিখেছেন, তিনি মৈমনসিংহ গৌরীপুরের জমিদার বাড়িতে বসে সুদূর রুশ বিপ্লবের নেতা লেনিনের মৃত্যু হলে কলকাতার পত্রিকা গুলো সংক্ষিপ্ত সংবাদ “Lenin is dead বা “The notorious Bolshevik leader Lenin has died” ছাড়া আর কিছু লিখল না। কবি যতীন্দ্র প্রসাদ মফঃস্বলে অর্থাৎ মৈমনসিংহে খবর পেলেন দুমাস পর। তিনি সঙ্গে সঙ্গে দীর্ঘ একটি কবিতায় ‘লেনিন’ লিখলেন ও কলকাতায় ডাকযোগে পেয়ে কবিতাটি বঙ্গবাণী পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। বাংলা ভাষায় এটাই ‘লেনিন’ সম্পর্কে সর্বপ্রথম কবিতা।
যাঁদের কথা লেখা হল তাঁরা ছাড়াও অনেকেই লিখতেন। পরবর্তী লেখায় তাঁদের নাম স্মরণ করা হবে। সবাই যাঁরা লিখতেন এবং অন লাইনে লিখবেন তাঁদের সকলকে জানাই স্বাগত। নমস্কার।
বাহ্।
অবেক্ষণের ইতিহাসের প্রত্যক্ষ সাক্ষী হতে পেরে আনন্দিত।
বাহ্! অবেক্ষণের সাথে ছিলেন এবং আছেন যাঁরা সকলকেই জানাই শুভেচ্ছা।
খুব ভালো লাগলো । আরও কিছু জানতে পারলাম ।