কবিতাঃ লাশ – সঞ্জীব রায়

লাশ

সঞ্জীব রায়

খুন হয়ে যাওয়ার পরে
লাশের তত্ত্ব আসে।

আসে লাশটার গলায় হাতে কোন মাদুলি ছিল কিনা!
লাশের কোমরে গোঁজা ছিল কিনা প্রসাদী ফুল
কিম্বা লাশের জোব্বায় ছিল কি পীরের কবচ?


আসলে খুন হলেই হিন্দু জাগে, মুসলিম জাগে।
আসলে খুন হলেই গেরুয়া জাগে, সবুজ জাগে, লাল জাগে।
জাগে না কেবল অর্ধ জাগরিত, অর্ধনগ্ন মানবিকতা।

যার গেল তার ভেসে গেল সবকিছু
যার গেল তার আর ফেরত আসে না তামাদি দলিল।
চোখের চামড়া খেয়ে ফেলা লোকগুলো
তর্জন আর গর্জনে লুপ্ত করে সমস্ত আলোকমালা।

খুন হয়ে গেলেই শ্মশান জাগে, কবর জাগে।
আহারে বিহারে মত্ততা আর মগ্নতায় ডুবে যায়
শ্মশানের আগুন আর কবরের মাটি।

কবে যেন খুন হল মানুষ
কোথায় যেন এখনও লেগে রক্তের দাগ।
ক্ষতিপূরণের মাপকাঠি, সরকারও জানে
কতটা গভীর হলে সব শোক মুছে যায়।

জীবনের দাম নির্ধারণ কিছুটা সোনায়, কিছুটা তামায়।

তিন সত্যি করে বলো তো
মানুষ খুন হলে তোমার অনুভূতি সাড়া দেয়?

3 thoughts on “কবিতাঃ লাশ – সঞ্জীব রায়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *