স্রোতস্বিনী
সৌমী চক্রবর্তী
অন্ধকার
কানাগলি
সূর্যডোবা
আকাশগঙ্গা পথ ধরে সে চলেছে উড়ুক্কু মেইল এ পা ডুবিয়ে,
ডেলা ডেলা মেঘের ঝাঁককে এপাশ ওপাশ সরিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করা তার নেশা;
যাত্রাপথ প্রশস্ত -ছায়াচ্ছন্ন -সর্বাপেক্ষা জটিলতাময়।
তাবড় তাবড় জলকণাদের বাধা বিপত্তি এড়িয়ে
সে চলেছে ফুরফুরে বিকাল দেখতে,
এক অস্ফূট পদশব্দ ধ্বনিত হয় সেখানকার নির্বাসিত রাস্তায়।
আলোকচিত্র
কথামালা
বৈতালিক
এক আলোকবর্ষের সঙ্গে আরেক আলোকবর্ষের হৃদ্যতা হল
বর্ণমালায় দুটি সহজ বর্ণের যোগে তৈরি একটি যুক্তাক্ষর।
নিহারিকা-ধূমকেতু-নক্ষত্রদের পরস্পর সাজিয়ে
কোন এক বৈতালিক সুর তুলে যায় অজানা বাদ্যের তার জুড়ে।
অসময়-মনকেমন-শূণ্যঘর
এবং আমি
দিনের আলোয় চোখ বন্ধ স্বেচ্ছাচার।
ধ্যাবড়া কাজল
চাতক দিন
কাদা পুকুর
অবগাহন এক আরামদায়ক রোগ।
নির্বাসিত রাস্তায় হেঁটে যায় আজন্মলালিত সংস্কার,
বাঁকের পর বাঁক কান পাতলে এক উর্বর উপকথার গল্প ভেসে আসে;
মেঘেদের ডানা কেটে এগোনোর উচ্ছ্বাসে দুটো রক্তাক্ত হাতের নীল শিরা থেকে
গড়িয়ে গড়িয়ে পড়া লাল রঙের ফোঁটারা পাপক্ষয় করে জলের সঙ্গে মিশে গিয়ে ।
অবশেষে সহস্র পা সাহস অতিক্রম করে-
দিকনিরূপণ
আন্দোলন
ভোরভৈরব।
চমৎকার
কবি তার কবিতার চিত্রকল্প দিয়ে চিনিয়ে দেয় ভূত ভবিষ্যৎ বর্তমান।ভাল লগল।
বাহ্। সুন্দর হয়েছে।