কবিতাঃ থার্মোমিটার দিয়ে লেখা- চয়ন ভৌমিক


থার্মোমিটার দিয়ে লেখা

চয়ন ভৌমিক

১)

জ্বর বেড়ে চলে শহরের,
নদীর গল্পে মাথা ধুয়ে দেয় চাঁদ।

পারদের ওঠা পড়া আসলে মায়ামন্ত্র…

উত্তাপ, সেখানে একটি সংখ্যাই মাত্র
একটি মাত্র উপশম দাগ।

২)

এই ছোঁয়া বাইপাস পেরিয়ে চলে যায় ভয়ের দিকে

দূরে শ্মশানঘাট, ব্রিজের বাঁক,
ছাদের নীরবতায় আঁকা শুকতারা।

কোথা থেকে অদৃশ্য আগুন উড়ে আসে
লাশ পুড়ে যায়,

ফারেনহাইটে মাপা যায় না জ্যোৎস্নার
কঠিন শীতলতা।

৩)

উর্মিমালার দু-বিনুনি
ফিরোজের চোখে এনে দিত আপেলের বাগান।

সবুজ ফসল ফলে উঠতো দূর দিগন্তের
কোথাও তখন –

যদিও কিশোর বয়সের সেই পাখির ডাক
একদিন স্তব্ধ হয়ে যাবে

একথা অমোঘ ছিল।

সেলসিয়াসের কৈশিক নলে
লেগে থাকা ব্রোমিনের রং, বুখার-আদর

হারিয়ে গেলেও নিশ্চিহ্ন হয় না আজও।

৪)

কোনারকের মন্দিরের সামনে দাঁড়িয়ে
যে জ্বর এসেছিল কুমারী ঢেউয়ের।

তা পুরীর সমুদ্রের বালিতে চুরমার হতেই

থার্মোমিটার দিয়ে কবিতা লিখেছিল আকাশ।

“বিপ্লব দীর্ঘজীবি হোক” এই লাল শব্দে
দাবানল জ্বলেছিল দূর দিগন্তে।

4 thoughts on “কবিতাঃ থার্মোমিটার দিয়ে লেখা- চয়ন ভৌমিক

Leave a Reply to ভূমিকা গোস্বামী। Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *